এশিয়া মহাদেশের অনেক দেশ শত শত বছর ধরে রোমান সাম্রাজ্য কুফরী শক্তির অন্ধকার শাসনাধীন ছিল। তাদের এই শাসন আমল আমাদের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা) দখল করার আগ পযন্ত অব্যাহত ছিল। আমাদের নবী করীম সা এর সাহাবীগণ রাসূলের আদর্শে ও শিক্ষায় অনুপ্রানীত হয়ে রোমান সাম্রাজ্য জুলুম ও নির্যাতন থেকে মানুষদের উদ্ধার করার জন্য রোমান সাম্রাজ্যকে জয় করে নেন। ঐতিহাসিকদের ভাষ্য মতে, ঐ সময় তুরস্কের মুসলমানরা সামারকান্দ ও বুহারা দিয়ে আসেন এনাতলিয়া (আনাদলু) তে। ১০৪৮ সালে বাইজান্টিনদের সাথে যুদ্ধের মাধ্যমে তাদেরকে পরাজিত করে মুসলিমরা তাদের স্বাধীনতার দ্বারকে উন্মোচিত করে। এর পরবর্তীতে ১০৭১ সালে মালাজগিরত যুদ্ধের মাধ্যমে এনাতলিয়ায় প্রবেশের সকল দরজাকে উন্মুক্ত করে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে তারা গোটা এনাতুলিয়া তাদের করতলগত করে এবং সেলচুকলু রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করে ।
মোঙ্গলদের সাথে শক্তিতে পেরে না উঠা এবং প্রিন্সিপালিস্টদের সাথে তাদের দূরত্বের কারণ সেলজুক রাষ্ট্রের পতনকে ত্বরান্বিত করে। তুরস্কের সর্ব পশ্চিমের নগর বুরসাতে ওসমানের বংশধরগণ তাদেরও এই পূর্বপুরুষদের তথা মৌলবাদ চিন্তধারাকে সামনে নিয়ে আসেন। এই মৌলবাদ অর্থাৎ আসল মুসলান অর্থাৎ ওসমানের বংশধররা যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে খুব দ্রুত সফলতা লাভ করে ও তাদের রাষ্টের পরিসীমাকে বড় করতে থাকে। আল্লাহ তালার অশেষ মেহেরবানীতে তাবুর নিচে গড়ে উঠা এই রাষ্টটি বিশাল ওসমানী খিলাফতে রুপ লাভ করে।
১৪৫৩ সালে ইস্তানবুলের বিজয়ের মধ্যদিয়ে মুসলিমরা দুনিয়ার সব থেকে বড় ও শক্তিশালী শক্তিতে রুপ লাভ করে। ইসলামী ঐক্যকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর জন্য তারা ইরানীয় প্রভাবকে প্রভাবিত করেন। এর পরপরই ইয়াভুজ সুলতান সেলিম মক্কাকে পৌত্তলিক ও মেমলুকদের রাষ্ট্রের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মিশরে সৈন্য সমাবেশ ঘটান এবং মিশরকে বিজয় করার পর তিনি মিশরকে ওসমানী খেলাফতের অভিভুক্ত করেন।
ওসমানী খেলাফতের পতন:
প্রায় ৪০০ বছর পর্যন্ত মুসলমানদের অধিকারকে সংরক্ষণ করার জন্য ও সারা দুনিয়াতে আদালত প্রতিষ্ঠার জন্য ইউরোপকে তঠস্থ করে রাখতে পেরেছিল। যেখানে যুলুম ও নির্যাতনের সংবাদ পেয়েছিল সেখানেই তারা মুসলিমদের ও মানবজাতিকে উদ্ধার করার জন্য তাদের সকল প্রকার সাহায্য নিয়ে হাজির হতেন। সর্বপ্রথম ওসমানী খেলাফতের খলিফার সাথে চুক্তি করতে আসেন থিউডর হেরজেল নামক বিখ্যাত ইহুদি তিনি ওসমানী খলিফা আব্দুল হামিদ খানের সাথে সাক্ষাত করেন এবং তাঁকে প্রস্তাব দেন যে তাদের সকল ঋণ মওকুফ এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনকে তাদের হাতে তুলে দিতে । ওসমানী খেলাফতের খলিফা সুলতান আব্দুল হামিদ তার এই প্রস্তাবে বলেছিলেন যে, শহীদের রক্তে কেনা ভুমি কখনো টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতে পারি না।
আর এই জবাবের পর তারা তাদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের জাল বুনে আব্দুল হামিদ খানের উপর। তারা তাকে পদচ্যুত করে ও তাদের পছন্দ মতো খলিফাকে স্থলাভিষিক্ত করার পরে ওসমানী খেলাফত কে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করতে বাধ্য করে। এরই মধ্যে ওসমানী খেলাফত তার সকল ভূমিকে হারায় । প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তাদেরকে জার্মানীর সহযোগী হতে বাধ্য করে। জার্মানীর মিত্রশক্তি হিসেবে যুদ্ধ করতে গিয়ে তারা তাদের অবশিষ্ট শক্তিটুকুও খর্ব করে ফেলে এবং আর নিজেকে রক্ষা করার মতো শক্তি অবশিষ্ট থাকে না । যুদ্ধের পর ইউরোপ থেকে আনাতোলিয়াকে উদ্ধার করার জন্য খলিফা মোস্তফা কামাল পাশাকে সেনাপতী করেন। সাথে সাথে সমগ্র আনাতোলিয়া নিজের সর্বশেষ আশ্রয়কে রক্ষা করার জন্য সর্বাত্নক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এই যুদ্ধে বিজয়ের পরে মোস্তফা কামাল পাশা (আতাতুর্ক) ওসমানী খেলাফতের সর্বশেষ পরিবারকে নির্বাশিত করে দেয় এবং খিলাফতকে বাতিল করে রিপাবলিকান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। এরপরেই শুরু হয় ইসলাম ও মুসলিমদের উপর নির্যাতনের ভয়াবহতা। কোরআন শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করা। সেকুলারিজমকে গ্রহণ, মসজিদে টার্কিশে ভাষায় আজান, লেখার আরবী হরফকে পরিবর্তন করে ল্যাটিন হরফ ব্যবহার। এইভাবে চলতে থাকে ২৮ বছর। যাতে করে গোটা জাতি এই জুলুমের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে না পারে , তাই ৩০ জানুয়ারী ১৯৪৩ সালে আসেন ব্রিটেনের প্রেসিডেন্ট চার্চিল । তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান ইসমত ইনউনুর সাথে বৈঠক করে বহু দলীয় গণতন্ত্র পতিষ্ঠার তাগদা দেন। রিপাবলিকান পিপলস পার্টির ২ জন এমপি জেলাল বায়ার ও আদনান মেন্ডেরস প্রতিষ্ঠা করেন ডেমোক্র্যাক্ট পাটি। শত যুলুমের স্বীকার মুসলিম জাতিকে তিনি শুধু ওয়াদা করেন যে তিনি আরবীতে আজান পুনরায় চালু করবেন । এতেই তাকে জনগণ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন। এভাবেই চলে ১০ বছর। তিনি সেই সময়ে মুসলিমদেরকে কোরআন শেখা নামায পড়ার অনুমতিসহ বেশ কিছু সুবিধা দেন ।
যুলুম নির্যাতনের সময় ইসলামী আন্দোলনঃ
যে সময়ে আল্লাহ নাম ডাকাও নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছিল আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার রহমত স্বরুপ বড় বড় আলেমদের পাঠান। সেই আলেমগন তাদের বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার জুলুম নির্যাতনের স্টিম রুলারকে উপেক্ষা করে আল্লাহ তা’লার দ্বীনের ঝান্ডাকে বুলন্দ করার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন দুর্বার গতিতে । তাদের মধ্য থেকে অন্যতম কয়েকজনের নাম আমি উল্যেখ করতে চাই।
ওস্তাদ বদিউজ্জাামন সাইয়েদ নুরসী (রা) তাঁর বিখ্যাত তাফসির গ্রন্থ ‘রিসালায়ে নুরে’র মাধ্যমে যুবকদের মধ্যে প্রচলিত ও ইসলামের বিরুদ্ধে সকল প্রপাগান্ডার দাঁত ভাঙ্গা জবাব পেশ করেন। নাস্তিক্যবাদ ও কমিউনিজমের বিরুদ্ধে তিনি তুলে ধরেন ইসলামের শ্রেষ্ঠ্যত্ব ও ঈমানের ব্যপারকে শক্তিশালী করার মানসে তিনি নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে তুলে ধরেন অকাট্য যুক্তিমালা।
সুলাইমান হিলমি তুনাহান কোরআন পড়া ও শিক্ষা দেয়া নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি বিচলিত হয়ে পরেন। আগামী প্রজন্ম কোরআনকে যাতে ভুলে না যায় সেই জন্য তিনি গ্রহন করেন অভিনব পদ্ধতি। তিনি ছিলেন ধনী পরিবারের তাই তিনি তার টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকেট কিনে সেখানে যাতে পুলিশ ও সরকারি গোয়েন্দারা দেখতে না পারে ট্রেনের ছোট কামরা গুলোতে তার ছাত্রদের কোরআন শেখাতেন। তার এই ছাত্ররাই পরবতীতে কোরআন কে জিয়িয়ে রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
ইসকিলিপ এর আতিফ র. কে ফাঁসি দেয়া হয় শুধুমাত্র তিনি হ্যাট এর বিপক্ষে বই লিখেছেন ও বিপ্লবের বিপক্ষের শক্তি তাই। সর্বশেষ কোর্টে এ যাওয়ার আগে যখন তিনি তার ফাইল রেডি করতেছিলেন সেই রাতে তিনি নবী করিম সাঃ কে স্বপ্নে দেখেন ও নবী করীম সাঃ তাকে বলেন যে, তুমি কেনো এসব প্রস্তুত করছো? তুমি কি আমার সাথে মোলাকাত করতে চাও না!! এরপরে তিনি আর নিজের পক্ষে সাফাই করেননি। এরপর তাঁকে ফাঁসি দেয়া হয়।এভাবে আলী হায়দার, মুহাম্মদ সাইদসহ আরো অনেক মুজাহিদগণ শহীদ হন।
ডেমোক্রেট পাটির পরের অবস্থাঃ
১৯৬০ সালে সামরিক জান্তাদের ক্যু এর মাধ্যমে আরবীতে আজান প্রচলন করার দায়ে ফাঁসি দেয়া হয় আদনান মেন্দেরেসকে। এই ঘটনায় গোটা জাতি শোকাহত হয়েও সেনাবাহিনীর ভয়ে বিক্ষোভ থেকে বিরত থাকে। এরপর বামপন্থী ও ম্যাসন হিসাবে পরিচিত সুলাইমান দেমিরেল আদনান মেন্ডরেস এর নাম ব্যবহার করে জনগনের সমর্থন লাভ করে ক্ষমতায় আরোহন করে। কিন্তু এসময় কোন ব্যক্তি ইসলামী আন্দোলনের আহ্বান জানায়নি বা এসময় কোন আন্দোলন সাংগঠনিক ভাবে গড়ে উঠেনি।
ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান ও তাঁর আন্দোলন মিল্লিগুরুশঃ (জাতীয় দৃষ্টিকোণ)
প্রখ্যাত বিজ্ঞানী নাজমুদ্দিন এরবাকান সমসাময়িক আলেমদের পরামর্শে ১৯৬৯ সালে স্বতন্ত্রভাবে এমপি হোন। এবং সে সময়ের সকল ইসলামী সংগঠনের সমর্থনে মিল্লিগুরুশ নামে অরাজনৈতিক প্লাটফরম গঠন করেন। এটা কোন রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি সাধারন প্লাটফরম ছিল । এখানে তিনি মিল্লিগুরুশ কে স্থান কাল পাত্র ভেদে ব্যবহার করতেন। যেহেতু, তুরস্কে ইসলামের নামে সংগঠন করা ও ইসলামের দল করাও নিষিদ্ধ তাই তিনি কৌশলগত ভাবে এই নাম দেন।এর দ্বারা তিনি মিল্লাতে ইব্রাহীম তথা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে বুঝাতেন। মিল্লি গুরুশের আন্দোলনের মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল
– সর্বাগ্রে আখলাক এবং আধ্যাত্মিকতা।
-অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা অর্জন করা। আমেরিকা ও রাশিয়ার থেকে স্বতন্ত্র ভাবে শিল্পায়ন ও প্রযুক্তিগত উন্নতি করে নতুন এক তুরস্ক গঠন।
-আধ্যাত্নিক উন্নতি । ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়া জাতিতে পুনরায় ইসলামের দিকে আহ্বান ও তাদেকে যোগ্য মুসলিম রূপে গড়ে তোলা। বিশেষ করে যুবকদের মাঝে ইসলামের প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধি করা।
– ইসলামিক ইউনিয়ন গড়ে তোলা ও সকল মুসলিমদেরকে একই প্লাটফরমে নিয়ে এসে সকল সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করা।
তাঁর এই কোয়ালিশন সরকারের সময় ৬ হাজার মুসলিম কে মুক্ত করে দেয়া, সাইপ্রাসকে গ্রীস থেকে দখল করা ও মুসলিমদেরকে যুলুম মুক্ত করা, নতুন করে মাদ্রসা শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করা সহ অনেক কাজ করেন।
তাঁর এইসকল কাজের কারণে মিল্লিগুরুসের রাজনৈতিক শাখা মিল্লি নিজাম পার্টিকে ইসলামী ফান্ডাম্যানটালিস্ট হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন মিল্লি সালামত পার্টি। কিন্তু এর পরপরেই ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ তে তুরস্কের কোনিয়াতে কুদুস দিবসের সমাবেশ পালনের অভিযোগে ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৮০ তে সামরিক শাসকগণ ক্যু করে এই পার্টিকেও নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। সেইাসাথে সকল রাজনৈতিক দল কে নিষিদ্ধ করা হয়।
তার উপর এই সকল যুলুম নির্যাতন ও তাকে রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও ১৯৮৩ সালে তিনি রেফাহ পার্টি গঠন করেন। এই পাটি খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা লাভ করে। এবং ১৯৮৭ সালে এরবাকানের উপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় তিনি আবারো রাজনীতিতে আসেন এবং রেফাহ পার্টির প্রেসিডেনন্ট হন। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই এই পার্টি ব্যাপাক জনপ্রিয়তা পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৪ সালের স্থানীয় মেয়র নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেন।
নাজমুদ্দিন এরবাকান তার ১১ মাসের শাসনামলে D-8 প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুদের হারকে কমিয়ে নিয়ে আসেন এবং জনগণের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগী হন। তার এই সকল উত্তোরত্তর সফলতায় ইয়াহুদীরা রেফাহ পার্টিকে বন্ধ করার লক্ষ্যে সকল প্রকার প্রপাগান্ডা চালায়। তার পার্টি শরিয়ত কায়েম করবে এই অভিযোগে তাকে সরানোর জন্য সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করে। এই অবস্থায় এরবাকান এই শর্তে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেন যে তার কোয়ালিশন পাটির নেত্রী তানসু’কে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। কিন্তু ম্যাসন ও ইয়াহুদিদের ধারক সোলাইমান দেমিরেল বিশ্বাসঘাতকতা করে মেসুদ ইলমাজকে প্রধানমন্ত্রী করে। এইভাবে রেফাহ পার্টিকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তাকেও রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরে মিল্লি গুরুশের অপর নেতা রেজাই কুতানের মাধ্যমে ফজিলত পার্টি গঠন করা হয় যা খুব অল্প সময়েই নিষিদ্ধ করা হয়।
২০০১ এর ২০ জুলাই সাদাত পার্টি যাত্রা শুরু করে কিন্তু মিল্লি গুরুশ এর ভিতরে তরুণ প্রজন্ম ও নতুনদের নেতৃত্ব নেওয়ার নামে এবং ইসলাম এর আগে লিবারেল ডেমোক্রেসিকে নিয়ে আসেন কতিপয় নেতা। তারা পরবতীতে মিল্লি গুরুশকে ভেঙ্গে গঠন করেন একে পাটি। মিল্লিগুরুশ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় । সাদাত পার্টি রয়ে যায় ইসলামী দল হিসাবে আর ‘একে পার্টি’ তাদের সকল দৃষ্টিকোণকে পরিবর্তন করে লিবারিজমের আদলে গড়ে উঠে। ‘আমরা সবাই মিল্লিগুরুশ ও আমরা হলাম তার পরবর্তী প্রজন্ম’ এই স্লোগান দিয়ে জনগনের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে একে পার্টি। এখনো মানুষ ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে তায়েব এরদোয়ান এরবাকানের ছাত্র এই হিসাবে তাদেকে ভোট প্রদান করে। কিন্তু ড. এরবাকান, এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তারা ছাত্রদের ভুলকে সবসময় জাতির সামনে উন্মোচন করেছেন। তিনি তাদেরকে সংশোধন হতে বলেছেন। তিনি বারবার একটা কথা বলতেন ”তোমরা যে পথে পা বাড়িয়েছ, সে পথে শুধু প্রবেশই করা যায় কিন্তু বের হওয়ার কোন পথ নেই।
”(এখানে একটা মজার ব্যাপার হলো তারা দল থেকে বের হয়ে আসার পরেও অন্যান্য বাম পন্থীদের অভিযোগ ছিল এরবাকান দুইটা পার্টি দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। একটা হলো পাওয়ারে ও অন্যটা সামাজিক ও ইসলাম প্রচারের কাজে। )
সাদাত পার্টিতে নেতৃত্ব নিয়ে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয় । ৮৪ বছর বয়সে ২০১০ সালে এরবাকান সাদাত পাটির দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে ২০১১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারী সাবাইকে কাঁদিয়ে মহান প্রভুর কাছে চলে যান । সাদাত পার্টি এখনো তাদের স্পিরিট ধরে রেখে এগিয়ে চলেছে শত প্রতিকুলতার মাঝেও তুরস্কে ৪র্থ বৃহত্তম দল হিসাবে।