মধ্যযুগের অর্থনৈতিক চিন্তা নিয়ে আলোচনার আগে, ইতিহাসে মধ্যযুগের আবির্ভাব কীভাবে হলো, তা জানা জরুরি।
অষ্টাদশ শতকের পূর্ব পর্যন্ত ইতিহাসকে দুইভাগে ভাগ করা হতো। হযরত পয়গম্বরের আগমনের পূর্ব পর্যন্ত সময়কালকে বলা হতো প্রাচীন যুগ; এবং রাসুলের (সা:) আগমনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছিলো আধুনিক যুগের। তৎকালীন সময়ের সব বড় বড় দার্শনিকরাই এক বাক্যে এটিকে স্বীকার করেন। উনবিংশ শতাব্দীতে এসে ইতিহাসে মধ্যযুগের অনুপ্রবেশ ঘটানো হয় এবং এটিকে সম্পৃক্ত করা হয় রোমান সাম্রাজ্যের সাথে। তাদের মতে, রোমান সাম্র্যাজ্যের উত্থানের মধ্য দিয়ে মধ্যযুগের সূচনা হয়। আর এর শেষ হয়, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য বা পূর্ব রোমের পতনের মধ্য দিয়ে। বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন হয়েছিলো সুলতান ফাতিহর মাধ্যমে। অর্থাৎ তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সুলতান ফাতিহ একটি যুগের সমাপ্তি ঘটিয়েছেন। এটি তাদের একটি কাল্পনিক আবিষ্কার। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসের ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়। এর ফলে ইসলামী সভ্যতার প্রাসঙ্গিকতাকে ইতিহাস থেকে দূর করে দেয়া হয়। একটি জাতিকে ইতিহাসবিহীন জাতি হিসেবে তুলে ধরার জন্যই মূলত তাদের এই কল্পকাহিনী। হেগেলের মতে, একটা জাতিকে আমরা ততটুকুই আমাদের ইতিহাসে স্থান দিবো, যতটুকু তার বর্তমানে অস্তিত্ব আছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর পরে মধ্যযুগ একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে এবং এর মাধ্যমে তারা তাদের পুস্তকসমূহ থেকে ইসলামের ইতিহাসকে বাদ দেয়।
প্রাচীন গ্রীক বা তারও আগে যেসব সভ্যতা ছিলো সেগুলোকে তাদের ইচ্ছামতো বর্ণনা করার পরে রোমান সাম্রাজ্য এবং রোমান সাম্রাজ্যের পতনের মাধ্যমে পশ্চিম ইউরোপের ঘটনাপ্রবাহকে বিবেচনায় নিয়ে ষষ্ঠ শতকের ঘটনাপ্রবাহকে বোঝায়। এ বর্ণনার মধ্যে মাঝেমধ্যে তারা ওসমানী খেলাফতকে নিয়ে আসে। তবে ওসমানী খেলাফতকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র এবং প্রগতির বাধা হিসেবে তুলে ধরে। দুঃখজনক হলেও, এই কল্পিত বিভাজনটি পুরো পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এখন প্রশ্ন আসে, এ কাজটি তারা কোন চিন্তার ভিত্তিতে করলো?
এখানে, ফিলোসফিক্যাল ট্রান্সফরমেশন বা দার্শনিক রূপান্তর ছিলো মূল। আর এই রূপান্তর ঘটান মূলত ইমানুয়েল কান্ট। ইমানুয়েল কান্টের ‘ক্রিটিক অব পিওর রিজন’র মধ্যে তিনি এটি তুলে ধরার চেষ্টা করেন যে, সকল অবজেক্টস বা উপাদানের সময়, স্থান এবং মানসিকতা মানুষের আকলের সাথে সম্পর্কিত। তার মতে হাকীকত বলতে কিছু নেই। কোন বিষয়কে আমাদের মস্তিষ্ক যেভাবে ধারণ করে, সেটি আমাদের কাছে সেভাবেই ধরা দেয়। এর আসল অস্তিত্ব ভিন্নও হতে পারে। তিনি এর পেছনে অনেক যুক্তি পেশ করেছেন। তার মতে, যেহেতু সময়, স্থান সবকিছু আকলের সাথে সম্পর্কিত, তাই মানুষ নিজের ইচ্ছামতো অতীত বা ভবিষ্যতকে সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমান সময়ের মানুষের জীবনপ্রণালীকে যদি আমরাই সৃষ্টি করে থাকি, তাহলে সময়কেও আমরা আমাদের ইচ্ছামতো নির্ধারণ করতে পারবো। একইসাথে সম্পৃক্ত ভবিষ্যতকেও আমাদের মতো করে সাজাতে পারবো এবং অতীতের ঘটনাসমূহকে সামনে এনে এমনভাবে তুলে ধরবো, যেন আমাদের কথা এবং লেখার মধ্যেই হাকীকত নিহিত। মুতলাক (Absolute) হাকীকত বলে কিছুই নেই। এর বিপরীতে, ইসলামী সভ্যতা মুতলাক হাকীকতকে স্বীকার করে। এখানে হাকীকতকে মানুষ সৃষ্টি করতে পারেনা। হাকীকতকে মানুষ সর্বোচ্চ পড়তে পারে, বুঝতে পারে এবং এর মাধ্যমে নিজে হাকীকতে রূপান্তরিত হতে পারে। কিন্তু সে নিজে এটা সৃষ্টি করতে পারেনা। যেমন, আমাদের আকীদার যে বই সারা পৃথিবীতে পড়ানো হয় ‘আকীদায়ে নাসাফী’ এই বইয়ের শুরুতেই বলা হয়েছে,
حقائق الأشياء ثابتة، والعلم بها متحقق
(হাক্বাইকুল আশইয়ায়ী সাবিতাতুন, ওয়াল ইলমু বিহা মুতাহাক্কিকুন)
-আশইয়ার হাকীকত স্থির, আর এ সংক্রান্ত জ্ঞান হলো হাকীকত।
কিন্তু কান্ট এই হাকীকতকে অস্বীকার করেছেন এবং কান্টের চিন্তার উপর ভিত্তি করে এবং এর মধ্য দিয়ে যে নতুন যুগের শুরু হয়, তা হলো মডার্নিজম। এর মাধ্যমে ইতিহাস থেকে শুরু করে সবকিছুকে ফিকশন হিসেবে তুলে ধরা হয়। পরবর্তী সময়ের চিন্তকরা এইসব ফিকশনকে প্রত্যাখ্যান করে। ফলে পোস্ট ট্রুথ বা পোস্ট মডার্নিজম এর সূচনা হয়। এসময় তারা মুসলমানদের ইতিহাসসমূহকে ফিকশন আখ্যা দিয়ে সেগুলোকেও প্রত্যাখ্যান করে। এটা করার মাধ্যমে তারা মুসলমানদের ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলেছে।
দ্বিতীয় যে বিষয়টি দিয়ে তারা ইসলামী সভ্যতাকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করেছে তা হলো, আজকে আমরা ইসলামী সভ্যতা বলতে বুঝি সাতশ থেকে বারোশো সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ আব্বাসী খেলাফতের পতন পর্যন্ত সময়কে। অথচ এরপরে ইসলামের ইতিহাসে অনেকগুলো বড় বড় সালতানাত আমরা দেখতে পাই। আমাদের বাংলা সালতানাত গঠিতই হয়েছে বারোশো সালের পরে। এসব সালতানাতসমূহ দোর্দণ্ড প্রতাপে দুনিয়াকে শাসনও করেছে। ওরিয়েন্টালিস্টদের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এটিকে তারা বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে। প্রকৃত বাস্তবতা হলো ইতিহাসে মধ্যযুগ বলে কিছুই নেই।
মধ্যযুগের (৫০০-১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) খ্রিষ্টান ইউরোপের অর্থনৈতিক চিন্তা:
পশ্চিম রোমান সভ্যতার উত্থান থেকে এর পতন পর্যন্ত সময়কালকে মূলত তারা মধ্যযুগ বলে থাকে। এই তথাকথিত মধ্যযুগে আসলে তাদের নিজস্ব কোন চিন্তাধারা নেই। এই সময়ে মূলত ইসলামী সভ্যতাই ছিলো পৃথিবীর ভাগ্যনিয়ন্তা। মুসলমানরা যেভাবে চিন্তা করতো, সারা পৃথিবী সেভাবে চিন্তা করতো। এজন্য তাদের জন্য এটা অন্ধকার যুগ। তাদের মতে, তৎকালীন সমাজ ব্যাবস্থাকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। একদিকে সামন্ততান্ত্রিক, অন্যদিকে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কর্তৃত্ব ছিলো চার্চের কাছে। এর মধ্যে অর্থনৈতিক চিন্তা বলে আলাদাভাবে তেমন কিছু পাওয়া যায়না। অর্থনৈতিক চিন্তা রাজনৈতিক ও আখলাকী চিন্তার সাথে মিশ্রিত ছিলো। সেসময়ের ইউরোপে প্রভাবশালী চিন্তা ছিলো ক্যাথলিক চার্চের চিন্তা।
এখানে আরও একটা বড় মিথ্যা লুকিয়ে আছে। কারণ পশ্চিম ইউরোপের চিন্তা বলে যাকে বোঝানো হচ্ছে তার মধ্যে স্পেন নেই, ফ্রান্স এবং ইতালীর একটা বড় অংশ নেই। অথচ এগুলো পশ্চিম ইউরোপের একটা বড় অংশ। তৎকালীন স্পেনে (আন্দালুসিয়ায়) বিদ্যমান ছিলো ইসলামের আলোয় উদ্ভাসিত এক গৌরবময় সভ্যতা। ফ্রান্সের একটা বড় অংশও এই সভ্যতার অংশ ছিলো। পরবর্তীতে কানুনী সুলতান সুলেমানের সময় ভিয়েনা পর্যন্ত ছিলো ওসমানী খেলাফতের পতাকাতলে। পূর্ব ইউরোপ বা বলকান অঞ্চল (ক্রোয়েশিয়া থেকে লিথুনিয়া পর্যন্ত) ছিলো ইসলামী সভ্যতার ছায়াতলে। ভলগা নদীর তীরে ককেশাস অঞ্চল ছিলো মুসলমানদের অধীনে। ইতালীর সিসিলি, টলেডো থেকে শুরু করে বিরাট একটা অঞ্চল ছিলো মুসলমানদের অধীনে।
যাই হোক, তাদের দাবী অনুসারে, অর্থনৈতিক চিন্তাধারা শুরু হয়েছে মার্কেন্টাইলিজমের মধ্য দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের নাবিকেরা যেদিন থেকে আবিষ্কার (মূলত শোষণ) এর উদ্দেশ্যে সারা দুনিয়ায় বেরিয়ে পড়ে সেদিন থেকেই মার্কেন্টাইলিজম বা বণিক সভ্যতার সূচনা হয়। মার্কেন্টাইলিস্ট যুগে প্রবেশের মাধ্যমে যেসব চিন্তা ছিলো তার মধ্যে অন্যতম হলো স্কলাস্টিসিজম।
স্কলাস্টিজম:
এই শব্দটি এসেছে স্কলা/ স্কুল থেকে। তথাকথিত মিডল এইজের শিক্ষা ব্যবস্থার নাম ছিলো স্কুল। এসময় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে যেসব বিষয় পড়ানো হতো তা ছিলো মূলত গ্রীক ফিলোসফির সাথে খ্রিষ্টান থিওলজি। তাদের মেথড ছিলো ডিডাকটিভ এবং ইনডাকটিভ। ডিডাকটিভ হলো সাধারণ থেকে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের দিকে আসা। ইনডাকটিভ হলো বিভিন্ন পার্ট/ ঘটনা থেকে একটা সাধারণ সিদ্ধান্তে আসা। স্কলাস্টিক চিন্তাধারার প্রতিনিধি হলেন থমাস আকুইনাস। তিনি দক্ষিণ ইতালীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। ১২১৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার সবচেয়ে বড় কাজ হলো গ্রীক ফিলোসফির সাথে খ্রিষ্টান থিওলজির সমন্বয় সাধন। (যেমনটা ইমাম গাজ্জালি আকল এবং নাকলের মধ্যে সমন্বয় করেছিলেন।) এর মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করতে চান যে, খ্রিষ্টান থিওলজি বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে নয়। জোসেফ শুম্পিটারের মতে পাঁচশ বছরের একটা বিরতির পর যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম পুনরায় অর্থনৈতিক চিন্তাকে নিয়ে আসেন, তিনি হলেন আকুইনাস। তার বিখ্যাত বই সুম্মা থিওলজিকা (অতঃপর থিওলজি)। খ্রিস্টান ধর্মের মূল কথা বৈরাগ্যবাদ। এর বাইরে গিয়ে আকুইনাস বলেন, সমাজ দুটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত: ১. সামাজিক গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিক শ্রেণির অবদান বা পরিশ্রম ২. এদের মধ্যকার কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয়। মানুষের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জীবিকা উপার্জন। তাই তার মতে, জীবিকা উপার্জন ধর্ম কর্তৃক নিন্দিত কোন কাজ হতে পারেনা। মানুষ সঠিক এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য জীবিকা উপার্জন করতে পারবে। এবিষয়টিকে তিনি থিওরি আকারে নিয়ে আসেন। প্রাচীন গ্রীসে ব্যবসাকে খারাপ হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু, থমাস আকুইনাসের মতে, সমাজের অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করবেনা, এই শর্তে ব্যবসা করা যাবে। তিনিও দাসপ্রথা এবং ব্যক্তিমালিকানাকে স্বীকৃতি দেন। স্কলাস্টিক চিন্তার একজন প্রতিনিধি হিসেবে তিনিও সুদের বিরোধীতা করেন। যেহেতু সুদ হচ্ছে শোষণের মাধ্যম এবং টাকা দিয়ে টাকা আয় করার উপায়, তাই তার মতে সুদ নিষিদ্ধ।
এর বাইরে এ চিন্তা নিয়ে তেমন কিছু পাওয়া যায়না। নিকোলা ওরেসমিয়াস এবং থমাস এই দুইজন ব্যক্তির নাম পাওয়া গেলেও তাদের চিন্তাধারা খুব বেশি পাওয়া যায়না।
থমাস আকুইনাসের চিন্তাধারাকে সংক্ষেপে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়।
- ১. মানব স্বভাবের উপর কাজ।
- ২. Reason & faith (আকল এবং নাকল এর উপর কাজ)।
এক্ষেত্রে তিনি হায়ারার্কি করেছেন। প্রথমে সায়েন্স, তারপর ফিলোসফি এবং এরপর থিওলজি এভাবে রেখেছেন। তিনি বলেন, “we must bear in mind that there are two kinds of science. There are some which proceed from a principle known by the natural light of intelligence such as arithmetic and geometric light. There are some which proceed from a principle known by the light of higher science. Thus, the science of perspective proceeds from principle established by geometry and music proceeds from principle established by arithmetic.” এটা মূলত ইবনে সিনার মিউজিক বইয়ের সারাংশ। তার নেচার অব গডের চিন্তা আমাদের কালামী চিন্তার সাথে অনেক সাদৃশ্যপূর্ণ। তিনি গডকে প্রমাণের ক্ষেত্রে যে কারণগুলো দেখিয়েছেন, সেগুলো আল ফারাবীর চিন্তার সাথে মিলে যায়। ফারাবীর মতে ফার্স্ট কজ আকল। মাদিনাতুল ফাদিলাহ এটা দিয়ে শুরু হয়েছে। এরপর তার দ্য আল্টিমেট নেসেসিটি, পারফেক্ট সোর্স, পারপাস সুদূর থিওরির সাথে সম্পর্কিত। রাষ্ট্রের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, State is a natural product of human nature. এটা তিনি মাদিনাতুল ফাদিলাহ থেকে নিয়েছেন। সেখানে আছে,“মানুষ জন্মগতভাবেই সভ্য।” তার যে common good এর চিন্তা, the function of a state is to secure the common good. এটি এসেছে আলা আদালাতু আসাসুল মূলক- (হযরত ওমর রা) থেকে।
- ৩. law, reason এগুলো নিয়ে তার কাজ আছে। ল’কে তিনি চারভাগে ভাগ করেছেনঃ natural law, human law, eternal law, divine law.
- ৪. Just war এর ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, a declaration by the ruler to defend against enemies. অর্থাৎ শাসক চাইলেই যুদ্ধ ঘোষণা দিতে পারে। যুদ্ধের বৈধতার একমাত্র কারণ এটিই। এর মাধ্যম ক্রুসেডকে বৈধতা দিয়েছেন।
যুদ্ধের ন্যায়সংগত কারণ হিসেবে তিনি বলেন, Just cause for an attack on an enemy because they deserve it on account of some faults, such as avenging wrongs they have committed.
অর্থাৎ তারা কোন আক্রমণ করার সম্ভাবনা আছে জানলে আমরা আগেই সেটা করতে পারবো। ইরাকে তারা এটা করেছে। তাদের রাসায়নিক অস্ত্র আছে, তা দিয়ে তারা আমাদের উপর আক্রমণ করতে পারে, এই বাহানায় আমরাও তাদের উপর আক্রমণ করতে পারবো।
তবে আমার মনে হয়েছে, এখানে মূলত জোসেফ শুম্পিটার অর্থনৈতিক চিন্তাকে গতিশীল রাখার জন্য এগুলোকে টেনে নিয়ে এসেছেন। তথাকথিত মধ্যযুগে তাদের আসলে সেরকম নিজস্ব কোন চিন্তা ছিলোনা।