বাংলাদেশে জমির মাপ: একটি পর্যালোচনা

জমি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাবর সম্পত্তি। বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে জমির মাপ বিভিন্ন রকমের। ইতিপূর্বে ওজনের ক্ষেত্রে অঞ্চলে অঞ্চলে যে বৈষম্য ছিল তা নিরসনের জন্য সরকার মেট্রিক পদ্ধতি চালু করেছেন এবং সর্বত্র তা বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কিন্তু জমির মাপের ক্ষেত্রে অনুরূপ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এ ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত একটি অরাজকতা বিরাজ করছে বলে মনে হয়।

খোদ ঢাকা শহর ও তার আশপাশে জমির মাপের বিভ্রান্তিকর দৃষ্টান্ত দেখতে পাওয়া যায়। বিঘা শব্দটি অত্যন্ত পরিচিত হলেও এর মাপ সব জায়গায় এক নয়। এখানে কোথাও ৬৪০০ বর্গহাত বা ১৬০০ বর্গ-গজ জমিকে এক বিঘা বলা হয়। আবার কোথাও এক বিঘা প্রায় ২০০০ বর্গগজের সমান। এই হিসাবে কোথাও ১৫ কাঠায় এক বিঘা ধরা হয়। আবার কোথাও ২০ কাঠায়। বাংলাদেশে এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে বিঘার মাপ প্রচলন নেই। নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের অধিকাংশ এলাকায় কানির হিসাবে জমি মাপা হয়। এই কানির মাপ কোথাও ২০ শতাংশ, কোথাও ৩০ শতাংশ, কোথাও ১২০ শতাংশ, কোথাও ১৬০ শতাংশ। আবার কোথাও ২২০ শতাংশ ধরা হয়। ঢাকা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলার গ্রামাঞ্চলে পাখির হিসাব প্রচলিত রয়েছে। এই পাখির মাপও সর্বত্র সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এখানে উঁচু ও নিচজমির মাপ বিভিন্ন রকম পরিদৃষ্ট হয় এবং এক পাখি জমি অঞ্চলভেদে ২০ থেকে ৪০ শতাংশে বিস্তৃত। সিলেট জেলায় কেয়ারের হিসাবে জমি মাপা হয়। এক কেয়ার জমি সেখানে ৩০ থেকে ৩৩ শতাংশে সীমাবদ্ধ। বৃহত্তর বরিশাল জেলার অধিকাংশ এলাকায় কড়া, জৈষ্ট ও কানির হিসাব রয়েছে। সেখানে ২ শতাংশে ১ কড়া, ১০ কড়ায় ১ জৈষ্ট এবং ৮ জৈষ্টে ১ কানি। বগুড়ায় ২৯ শতাংশে বিঘা। বৃহত্তর ময়মনসিংহ- এর কিছু এলাকায় ৬.৫ শতকে এক কাঠা এবং ষোল কাঠায় এক পোরা বা বিঘা। শম্ভুগঞ্জে প্রতি কাঠা জমির পরিমাণ ১০ শতাংশ। জমির মাপের এই বিভ্রান্তিকর অবস্থা সারাভারতে ব্রিটিশ আমলের পূর্বে মোগল আমলেও বিরাজমান ছিল। এই বিভ্রান্তি থেকে জনসাধারণকে মুক্তি দেয়ার প্রথম প্রয়াস চালান সম্রাট আকবর। তার সময়ে তার রাজস্বমন্ত্রী টোডর মল সাম্রাজ্যের প্রায় সব ক’টি সুবার চাষযোগ্য জমি জরিপ করিয়ে উৎকর্ষের ভিত্তিতে প্রতিবিঘা জমির খাজনা নির্দিষ্ট করে দেন। আইনে আকবরীতে প্রত্যেক সুবার মোট জমি ও চাষাধীন জমি এবং রাজস্বের পরিমাণ উল্লেখ রয়েছে। তবে যে কয়টি সুবার জমির চাষযোগ্য পরিমাণ সেখানে উল্লেখ করা হয়নি তার মধ্যে সুবে বাংলা হচ্ছে অন্যতম।

বাংলাদেশের চাষযোগ্য জমির পরিমাণ আইনে আকবরীতে উল্লেখ না থাকার অর্থ এই নয় যে, এখানে জমি মাপার চেষ্টা করা হয়নি। আকবরের সমসাময়িক কবি কঙ্কণ মুকুন্দ রাম নালিশ করেছেন :

মাপে কোনে দিয়া দড়া
পনর কাঠায় কুড়া
নাহি মানে প্রজার গোহারী।

অর্থাৎ সরকারের লোকেরা দড়ি দিয়ে জমি মাপছে এবং প্রতি পনের কাঠার এক কুড়া (বিঘা) ধরছে, প্রজাদের অনুনয়নের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করছে না। মাপের দড়িকে ছোট করে জমির মাপ বেশি করে দেখানোর একটা কায়দা আইনে আকবরীতে লেখা আছে। আবুল ফজল লিখেছেন, জরিপের লোকেরা মাপের দড়ি রাত্রে বাইরে ফেলে দিত এবং তা শিশিরে ভিজে ছোট হয়ে যেতো। পরে ভোর বেলা উঠে সেই দড়ি দিয়ে জমি মাপলে মাপ অনেক বড় মনে হতো। এতে করে তারা মজুরি বেশি পেতো। তাদের বিঘা প্রতি মজুরি ছিল এক দাম (তখনকার মুদ্রা)। তাই দশ বিঘা জমি মেপে বার বিঘা বললে ওরা দু’ দাম বেশি মজুরি পেতো।
বাংলাদেশের ভূস্বামীরা খুব সম্ভবতঃ আনুমানিক রাজস্বের ওপর আরো কিছু বাড়তি দেয়া স্বীকার করে নিয়ে এই জরিপের হাত থেকে নিষ্কৃতি পান। যশোর জেলায় গত শতাব্দীতেও জরিপ-মওকুফী বলে একটি কথা প্রচলিত ছিল। এর মানে জরিপের পরিবর্তে অতিরিক্ত কর বা টেক্স। আকবরের সময় এই রকম আনুমানিক রাজস্ব সুবে বাংলা ছাড়া বেরার, কাশ্মীর ও দক্ষিণ গুজরাটেও ছিল বলে জানা যায়। আনুমানিক রাজস্ব নির্ণয়ের প্রণালীকে নসক বলা হত।

আইনে আকবরীতে উল্লেখ আছে যে, ষাট গজ লম্বা চওড়া জমিকে এক বিঘা বলা হয়। প্রশ্ন হল গজ কত লম্বা। আকবরের নবরত্ন সভার পণ্ডিতেরা এ নিয়ে অনেক গবেষণা করেন। হারুন-অর রশিদের সময় থেকে বাগদাদের খলিফারা কত রকমের গজের প্রচলন করেছিলেন তার খোঁজ করা হয়। ভারতবর্ষে প্রচলিত গজের মধ্যে সিকান্দার লৌদির গজ সম্বন্ধে জানা যায় যে, তিনি তার সময়ে প্রচলিত ইস্কান্দারী মুদ্রাকে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করতেন। সাড়ে ৪১টি ইস্কান্দারী মুদ্রাকে পাশাপাশি রাখলে সিকান্দার লৌদির এক গজ হতো। পরে হুমায়ুন মেপে দেখেন যে, ৪২টি ইস্কান্দারী মুদ্রা পাশাপাশি রাখলে ৩২ আঙ্গুল হয়। অনেক ভেবেচিন্তে আকবর হুকুম জারি করেন যে, ৪১ আঙ্গুলে এক গজ হবে। এই গজের নাম এলাহী গজ। আবার এও বলা হয় যে, ৬টি যবের দানা পাশাপাশি রাখলে এক আঙ্গুল হবে। ষাট এলাহী গজ চওড়া জমির মাপ এক বিঘা। আকবরের সাম্রাজ্যের প্রায় সব সুবার চাষের জমি এই প্রামাণিক বিঘাতে মাপ হয়। আকবরের পর এই ধরনের উদ্যোগ আর কেউ বড় একটা নেয়নি।

বাংলাদেশে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় জমির কোন মাপজোক হয়নি; জমিদারীর সীমানা ও জমির মাপ আন্দাজমত ধরে নেয়া হয়েছিল। কোম্পানি ভেবেছিল যে, যদি দুই পাশাপাশি জমিদারের মধ্যে সীমানা নিয়ে ঝগড়া বাধে তা হলে আদালত একটা মীমাংসা করে দেবে। কিন্তু যখন উত্তর ভারতে দশ, বিশ বা ত্রিশ শালা বন্দোবস্ত আরম্ভ হলো তখন বিঘা কতখানি তা জানার প্রয়োজন হল। এই রকম বন্দোবন্তের সময় মহালের জমির মাপ কত এবং সেই জমি থেকে পূর্বে কত রাজস্ব আদায় করা হতো তা জানার দরকার হয়। প্রথমে ভাবা হয়েছিল যে, দিল্লী-আগ্রার কাছাকাছি তখনো নিশ্চয়ই আকবরী বিঘা প্রচলিত আছে। তাই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন কালেক্টরদের জিজ্ঞাসা করলেই বিঘা কতখানি তা জানা যাবে। কিন্তু কালেক্টররা যে জবাব পাঠালেন তাতে বিভ্রান্তি আরো বেড়ে গেল। সব জেলাতেই বিঘার মাপ আলাদা আলাদা শুধু তাই নয়, আরো দেখা গেল যে, সব জেলাতেই কাচ্চা ও পাকা দু’রকমের বিঘা প্রচলিত রয়েছে। পাক্কা বিঘা অনেক সময় কাচ্চা বিঘার প্রায় তিন গুণ। কাজেই সম্রাট আকবরের বিঘার মাপও সহজে জানার উপায় দেখা গেল না। এরপর চেষ্টা চললো ইলাহী গজ কত লম্বা তা জানার। ষাট এলাহী গজ লম্বা ও ষাট এলাহী গজ চওড়া অর্থাৎ ৩৬০০ বর্গ এলাহী গজে এক আকবরী বিঘা হয়। তাই ধারণা করা হলো যে, এলাহী গজ কত লম্বা তা আকবরী বিঘা কতখানি তা থেকে জানা যাবে। এলাহী গজ-কত লম্বা তা জানার দু’টি উপায় আইনে আকবরীতে উল্লেখ রয়েছে। ৪১ আঙ্গুলে এক এলাহী গজ, আর ৬টি যব পাশাপাশি রাখলে এক আঙ্গুল কতখানি তা জানা যাবে। কিন্তু এই উপায়ে গজের দৈর্ঘ্য জানা সম্ভবপর হল না। কেননা যবের মাপ নির্ণয় করা সহজসাধ্য নয়- যব সরু- মোটা নানা রকম পাওয়া গেল সেগুলো বিভিন্ন মাপের। কোনটির ব্যাস .৬০ ইঞ্চি কোনটির .৬৫ ইঞ্চি, কোনটির .৭ ইঞ্চি আর দু’একটির .৭৫ ইঞ্চি। কাজেই মাপ বের করার কোন উপায়ই আইনে আকবরীতে পাওয়া গেল না। প্রিনসেপ সাহেব অবশ্য অনেক গবেষণা করে বের করেন যে, আকবরের আগে উত্তর ভারতে যে গজ প্রচলিত ছিল তা প্রায় ৩০ ইঞ্চি লম্বা। এ থেকে হুমায়ূনের আঙ্গুলের মাপ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু আকবরের আঙ্গুলের মাপ পাওয়া মুশকিল।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তখন এলাহী গজের মাপ বের করার জন্য ভিন্নতর পন্থা বের করে। আগ্রা থেকে দিল্লী হয়ে লাহোর অবধি এবং আগ্রা থেকে আজমীর পর্যন্ত রাজপথের ধারে বাদশাহী যুগে ক্রোশ মিনার লাগানো হয়েছিল। প্রতি এক ক্রোশ অন্তর অন্তর এই মিনারগুলো ছিল। কোম্পানি মনে করলো এগুলোর পারস্পরিক দূরত্ব মাপলেই বাদশাহী ক্রোশ কত বড় ছিল তা জানা যাবে। আকবর নিয়ম করে দিয়েছিলেন যে, ৫০০০ এলাহী গজে এক ক্রোশ হবে। মিনারের দূরত্ব মাপলেই এলাহী গজের মাপ বেরিয়ে যাবার কথা। এতেও কিন্তু অসুবিধা দেখা দিল। কেননা শাহজাহানের আমলে ক্রোশের মাপ বাড়িয়ে ৫০০০ গজের পরিবর্তে ৫২৫০ গজ করা হয়। তদুপরি ক্রোশ মিনারগুলো‌র কোনটি আকবরের আমলের আর কোনটি শাহজাহানের আমলের তা জানার উপায় ছিল না। এ প্রেক্ষিতে সমস্ত ক্রোশ মিনারই আকবরের আমলে বানানো হয়েছিল ধরে নিয়ে ১৮২৫ সালের জুন মাসে সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে আদেশ দেয়া হয় যে, দিল্লী থেকে কর্নালের পথে ছয়টি মিনারের দূরত্ব এক নয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে কম দূরত্ব হলো, ৪৫১২.৬৪ বিলেতি গজ এবং সবচেয়ে বেশি দূরত্ব ৪৬০৯.৬১ বিলেতি গজ। সম্ভবত সার্ভে জব ইন্ডিয়া সোজাসুজি মাপ নিয়েছিল। আকবরের সময়ের রাস্তা জানা থাকলে এবং সে অনুযায়ী মাপ নেয়া হলে হয়ত দূরত্ব সমানই হতো। যা হোক, মিনারগুলোর গড়পড়তা দূরত্ব পাওয়া গেল ৪৫৫৭.৭ বিলেতি গজ অর্থাৎ ২.৫৮৯ মাইল। এই দৈর্ঘ্যকে, ৫০০০ দিয়ে ভাগ করে এলাহী গজের মাপ পাওয়া গেল ৩২.৮১৪ ইঞ্চি বা প্রায় ৩৩ ইঞ্চি। ১৮২৬ সালের ১ জুন কোম্পানি ঘোষণা করেন যে, এলাহী গজের মাপ ৩৩ ইঞ্চি।

এ প্রেক্ষিতে এলাহী গজ ৫৫ বিলেতি গজের সমান। এই হিসাবে আকবরের বিঘার মাপ ৫৫৫৫-৩০২৫ বর্গ বিলেতি গজ। জানা যায়, যে সমগ্র উত্তর ভারতে বর্তমানে বিঘা বলতে এই বিঘাকেই বোঝায়। কোম্পানি আমলে অবিভক্ত বাংলার রাজধানী কলকাতায় জমির মাপই তখনকার দিনে বাংলাদেশের সর্বত্র সরকারিভাবে ব্যবহার করা হতো। কলকাতা শহরে কোম্পানির জমিদারী ছিল। এখানে তাদের জমি বিক্রি বা পত্তনি দেয়ার জন্য জমি মাপার প্রয়োজন হতো। আশি হাত লম্বা এবং আশি হাত চওড়া জমিকে কলকাতার এক বিঘা বলা হতো এখন প্রশ্ন হলো, হাত কত লম্বা। মানুষের হাত সাধারণত ১৮ থেকে ২০ ইঞ্চি লম্বা হয়। এক হাতকে ১৯ ইঞ্চি ধরে ১৭৮৩ বর্গগজে তখন এক বিঘা ধরা হয় এবং অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত বিঘার এই মাপই ছিল। পরে কোনও এক সময়ে বিঘার মাপ কমিয়ে ১৬০০ বর্গগজ করা হয় এবং হাতের মাপ আধ গজ বা ১৮ ইঞ্চি ধরা হয়। কলকাতায় এখনো বিঘার মাপ তাই আছে। প্রাচীন বাংলার বিঘাকে কুড়োবা বলা হত। খুব সম্ভবত কুড়োবা শব্দটি কুল্যবাপ শব্দ থেকে এসেছে। পাহাড়পুরের অনুশাসনে কুল্যবাপ শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। আট দ্রোনে এক কুল্যবাপ। যতখানি জমিতে এক দ্রোন শস্য বীজ বুনা যেতো তাকে বলা হতো এক দ্রোন। আট দ্রোনে এক কুল্যবাপ ধরা হতো। অবশ্য বাংলাদেশের কোথাও বিশেষ করে ‘দক্ষিণাঞ্চলে ১৬ কানিতে এক দ্রোন গণ্য করা হয় ১২০ শতাংশের কানি)।

প্রাচীন বাংলাদেশে দড়ি দিয়ে ঠিক ঠিকভাবে জমি মাপার প্রথা ব্যাপক আকারে একটা প্রচলিত ছিল বলে মনে হয় না। ইংরেজ সুরকার লিখেছে, বাংলাদেশের লোকদের-জমিদার হোক আর প্রজা, জমি মাপাতে ভীষণ ভয়। সাধারণ কাজকর্মে আন্দাজমতো জমি মাপা হয়। কাঠা শব্দটি দিয়ে আগে যেমনি শস্যের পরিমাণ বোঝান হতো এখনো অনেক অঞ্চলে তাই করা হয়। শুধু যথাযথ খাজনা নির্ধারণের জন্য নয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং সামাজিক শান্তি বিধানের জন্যও জমির সঠিক মাপের গুরুত্ব ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে না। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে যতো মামলা-মোকদ্দমা ও ঝগড়া-বিরোধ তার অধিকাংশই জমির মাপ সংক্রান্ত। কালের আবর্তে সারাদেশে অনেক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। টাকা, আনা, পাই বিদায় নিয়েছে। কাচ্চা, তোলা, মণ সেরও পরিবর্তিত হয়ে সহজ, পরিমাপের মেট্রিক সিস্টেম চালু হয়েছে। জমির মাপের ক্ষেত্রে বিরাজিত বৈষম্যমূলক পদ্ধতিসমূহেরও অবসান হওয়া উচিত। সরকার প্রয়োজনবোধে একটি কমিশন গঠন করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।

 

১৬১৪ বার পঠিত

শেয়ার করুন

মতামত প্রকাশ করুন

Scroll to Top