বিদেশ নির্ভর অর্থনীতি নয় প্রয়োজন ব্যবসার সহজীকরণ

অক্সিজেন উৎপাদন কারিগরি দিক থেকে খুব জটিল কোনো বিষয় নয় এই সময়ে এবং তা ব্যয়বহুলও নয়। মাত্র দু-তিন কোটি টাকা খরচেই চীন কিংবা জার্মানির অক্সিজেন প্রস্তুতকারকদের সহায়তায় মধ্যমানের একটা অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করা যায়। অথচ ভারতের করোনাকালীন জরুরি পরিস্থিতি এবং অক্সিজেনসহ কিছু জরুরি ও স্পর্শকাতর চিকিৎসাসামগ্রীর সরবরাহের সংকটের সময় আমরা সেই ভারতের ওপরই ভরসা করছি। যাবতীয় দুর্যোগের সময় ভারত কিংবা চীনের ওপর নির্ভর না করে স্থানীয়  বিকল্প নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে। দেশীয় উৎপাদনের কিংবা আমদানির বিকল্প একটা সরবরাহ ব্যবস্থা থাকলে ভালো।

চাল, ডাল ও পেঁয়াজের মতো পচনশীল পণ্য, যা ভারত আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপকভাবে রপ্তানি করে, সেগুলো ভারত থেকে একচেটিয়াভাবে আমদানি করার অর্থনীতি যৌক্তিক। ভারত থেকে পণ্য ক্রয় পরিবহন খরচ ও সময়ের দিক থেকে সাশ্রয়ী। পচনশীল আমদানি পণ্য দীর্ঘদিন সংরক্ষণের বদলে এখানে ছোট কিংবা মধ্য পরিসরে স্টোরেজের নীতি ব্যবসা সহনীয়। কিন্তু তাই বলে পচনশীল পণ্যের বাইরে অপরাপর যাবতীয় শিল্পের কাঁচামাল ও তৈরি পণ্য নির্বিচারে ভারত বা চীন থেকে আমদানি করতে থাকলে সময়ে সময়ে সরবরাহ সংকট তৈরি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মন্দা, অবকাঠামোগত কিংবা মানবসৃষ্ট সমস্যা এবং বিশেষভাবে রাজনৈতিক সংকটের সময়ে বাজারে সরবরাহ সংকট তৈরি হওয়া বেশ স্বাভাবিক।

ভারত বিশ্বের প্রায় অর্ধেক টিকা উৎপাদন করলেও কাঁচামাল আসে ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা চীন থেকে, কাঁচামালের বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন পরস্পর সংযুক্ত। ধারণা করা হচ্ছে, অতি চাহিদার জন্য কাঁচামাল সংকটে টিকা উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাই বেশ চাপে পড়েছে। এ অবস্থায় জরুরি সময়ে যেখানে ভারতেই টিকা ও অক্সিজেনের হাহাকার শুরু হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের শুধু ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকা বিব্রতকর বিষয়। এগুলো না পেয়ে দোষারোপের সংস্কৃতিতে যাওয়াকে ভালো চোখে দেখা যায় না। স্থানীয় চাহিদা মেটাতে ভারতের জরুরি অবস্থায় রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত সময়ের বিবেচনায় যৌক্তিক। হ্যাঁ, অতীতে চাল-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন দরকারি পণ্য রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ভারত বাজে উদাহরণ তৈরি করেছিল। পাট ও পাটপণ্য, বাংলাদেশে তৈরি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ও মাছ ধরার জালের ওপর অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে ভারত বাংলাদেশের কিছু খাতের বেশ ক্ষতি করেছে। তথাপি ভারতের করোনাজনিত অক্সিজেন বিপর্যয়ের মুখে ও টিকা তৈরির কাঁচামাল স্বল্পতার মধ্যে এই দুটি পণ্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা স্বাভাবিক বিষয় বলেই বাংলাদেশকে মেনে নিতে হবে।

স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পরই একটি দেশ বিদেশে পণ্য রপ্তানি করবে। উপরন্তু সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যদি পণ্যমূল্য বাড়িয়ে বেশি লাভ করা যায়, তাহলে সে পথে কে যাবে না? বাণিজ্যে তো বন্ধুত্ব বলে কিছু নেই। লভ্যাংশনির্ভর বাজার অর্থনীতির পাশাপাশি এখানে থাকে আচরণগত অর্থনীতির কৌশল খেলার বিষয়। ফলে চুক্তির টিকাও আসবে, যখন দেখা যাবে টিকার আন্তর্জাতিক চাহিদাটা কমে যাবে এবং টিকার দামও কমে যাবে। বিকল্প উৎসহীন একচেটিয়া ও একপক্ষীয় আমদানি নীতিতে গেলে এমন ভাগ্যই নিয়তি।

এখানে মৌলিক একটি প্রশ্ন হচ্ছে, কেন শিল্প কাঁচামাল, জীবন বাঁচানোর জরুরি ওষুধ থেকে শুরু করে যাবতীয় ‘প্রস্তুতকৃত পণ্য’ একটিমাত্র উৎস থেকেই আমদানি করতে হবে? কেন সুই থেকে শুরু করে উড়োজাহাজ পর্যন্ত সবকিছুই আমদানি করতে হবে? কারণ দেশের শিল্প অবকাঠামো নিয়ে আমাদের কোনো লক্ষ্য ও অভীষ্ট তৈরি হয়নি। দূরদর্শিতা নেই বলে আমাদের কী কী মৌলিক উৎপাদন খাত থাকা চাই, তা সংজ্ঞায়িত হয়নি। তবে কারিগরিভাবে এই উত্তরটি বিশ্বব্যাংকের ‘ডুইং বিজনেস ইনডেক্স’ কিংবা ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ব্যবসা সূচক ১৬৮, বিপরীতে ভারতের ৬৩। বিশ্বে ১৯০টি দেশের মধ্যে প্রতিবেশী দুটো দেশের অবস্থানের পার্থক্য ১০৫। এই সূচকটা একটা আয়না, যেখানে খুব সহজে একটা দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি, শিল্প ও ব্যবসার পরিবেশ বোঝা যায়। 

২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্স ছিল ৯৯। পরিস্থিতি পাল্টে যেতে শুরু করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথিত দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের পর, যখন ব্যাপকসংখ্যক ব্যবসায়ীকে ধরে ধরে চাঁদা আদায় করা হয় এবং জেলে ভরা হয়। ২০০৮ সালে সূচকের অবনতি হয়ে ১১৫-তে নেমে যায়, পরের বছর আরও কমে হয় ১১৯। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এ সময় বাংলাদেশের আগে থেকেই থাকা জ্বালানি সংকট ব্যাপকতর হয়। বিরোধী ঘরনার ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিবন্ধকতা ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত সহনীয়ভাবে অব্যহত থাকে। ধীরে ধীরে ব্যবসা সহজীকরণ সূচক ২০১৩ সালে ১৩০-এ নামে। ২০১১ সালের শেয়ারবাজার ধসও ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে পিছিয়ে থাকার বড় কারণ ছিল।

একদলীয় শাসনের যাত্রা শুরুর বছরে (২০১৩-১৪) এক বছরেই বাংলাদেশের ব্যবসা সহজীকরণ সূচকের ৪২ ধাপ অবনমন হয়। বিশ্বের বিনিয়োগ ও ব্যবসার ইতিহাসে এই পতন একটা রেকর্ডও হতে পারে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আস্থা ফিরে না আসায় বিরোধীদের পুঁজিগুলো বিনিয়োগে আসেনি বরং এই পুঁজির অনেকটাই সরকারি প্রভাবশালীদের মাধ্যমে লুট কিংবা বেদখল হয়েছে। ব্যক্তিসম্পদ বিনিয়োগের পরিবর্তে ভোগ হয়েছে, হয়েছে পাচার। এসময় বিরোধী রাজনৈতিক পরিচয়ধারী বহু ব্যবসায়ীর টিকে থাকা মুশকিল হয়ে পড়ে, অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। শাহবাগ আন্দোলনের আগে-পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত ঘরনার ব্যসায়ীদের মালিকানাধীন কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, টিভি ও সংবাদপত্রও বন্ধ কিংবা বেহাত হয়ে যায়। নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক অচলাবস্থাজনিত আস্থাহীনতায় ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে একপর্যায়ে ব্যবসা সহজীকরণ সূচক ১৭৮-এ নেমে পড়ে। ২০২০ সালে এসে বাংলাদেশের ব্যবসা সূচক বিশ্বে ১৬৮তম হয়।

ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে ভারত ও বাংলাদেশের অবস্থানের তারতম্য আকাশ-পাতাল। নির্মাণসংক্রান্ত অনুমতি, পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রভৃতি ঝামেলায় ভারত বাংলাদেশের চেয়ে ১০৮টি অবস্থানে এগিয়ে। বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি ও সাশ্রয়ী জ্বালানির সূচকে তারা ১৫৪টি অবস্থানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে। ঋণপ্রাপ্তির দিক থেকে ৯৪টি অবস্থানে ও বিনিয়োগ সুরক্ষায় ৫৯টি অবস্থানে তারা এগিয়ে রয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়ন, বৈদেশিক বাণিজ্য সুবিধা প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে ৩৬টি অবস্থানে এগিয়ে। সম্প্রতি এক শীর্ষ ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন, দেশে প্রকৃত করদাতাদের হেনস্তা করা হয় এবং প্রভাবশালীদের ছাড় দেয়া হয়। এতে সৎ ব্যবসায়ীদের ওপর করের চাপ বাড়ছে। ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে এর সত্যতা মেলে। কর সহজীকরণের দিক থেকে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে ৩৬টি দেশের অবস্থানে এগিয়ে।

এর অর্থ হচ্ছে, ভারতে ব্যবসা ও শিল্প টিকিয়ে রাখা সহজ, পণ্য উৎপাদনের খরচ বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম। এভাবে চীনের সঙ্গে তুলনা করা হলে ব্যবধানটা আরও বেমানান ঠেকবে। সুতরাং বাংলাদেশে উৎপাদন খরচ বড্ড বেশি বলে সবাই চীন ও ভারতমুখী। কেন বাংলাদেশের পণ্য উৎপাদন খরচ খুব বেশি, এর এক লাইনের উত্তর না খুঁজে বরং খুঁজতে হবে ব্যবসা সহজীকরণের বৃহৎ পরিসরটায়।

বগুড়ার মহাস্থান হাট থেকে চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে যেতে মহাসড়কের পথে পথে পণ্যবাহী একটি ১০ টনের ট্রাককে চাঁদা দিতে হয় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার টাকা (আনোয়ার পারভেজ, ২৬ জুলাই ২০১৩ প্রথম আলো), গ্রাম থেকে শহরে পণ্য আসতে দাম বেড়ে যায় ১০ থেকে ২০ গুণ। যেখানে পুলিশ ও পরিবহন সমিতির নামে চলে বেপারোয়া চাঁদা—এমন দেশে পণ্য উৎপাদন হবে না, বরং হবে আমদানি ও ট্রেডিং। এর ফলে সময়ে সময়ে সংকটে পড়াই আমাদের যৌক্তিক পরিণতি। স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের ছিল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বাধাগুলো জানার গভীরতর বিদ্যায়তনিক অনুসন্ধান দরকার। জীবন চালাতে ও জীবন বাঁচাতে জরুরি পণ্যের একটা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দেশে উৎপাদন করে কর্মসংস্থান ও সরবরাহ সংকটের টেকসই সমাধানের বোধটা ফিরে আসুক।

শিল্প বিনিয়োগের অবকাঠামোগত প্রস্তুতি প্রকল্প বা নীতির সমীক্ষা ও পর্যালোচনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় অন্য কয়েকটি বাধা হচ্ছে—জমিস্বল্পতা, নিরবচ্ছিন্ন সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নিশ্চয়তা, পরিবেশ ছাড়পত্র, চুক্তি বাস্তবায়ন, লেনদেনসহ আর্থিক অপরাধের বিচারিক নিষ্পত্তি, দক্ষ মানবসম্পদ প্রাপ্তি, ঘুষ, দুর্নীতি ও বেপারোয়া চাঁদাবাজি, জ্বালানি সংযোগের দীর্ঘসূত্রতা এবং পরিবেশ ছাড়পত্রসহ নানা ধরনের প্রশাসনিক হয়রানি ছাড়াও অন্য বেশকিছু সমস্যা। রাজনৈতিক সদিচ্ছায় থাকলে এর অনেক কিছুই দ্রুত কাটিয়ে ওঠা যায়।

আমাদের প্রবৃদ্ধি যে কর্ম তৈরি করতে পারছে না, বেসরকারি বিনিয়োগ যে এগোচ্ছে না, ব্যবসা সূচক ছাড়া তার ভিন্ন কোনো প্রমাণ ও ব্যাখার প্রয়োজন নেই। বিনিয়োগবন্ধ্যার কারণগুলো খুবই কারিগরি ও অবকাঠামোগত। ব্যবসা সহজীকরণের বিদ্যুৎ উপ-সূচকে বাংলাদেশের মান ১০০-তে মাত্র ৩৪ দশমিক ৯, ভূমি নিবন্ধনে মাত্র ২৯, ব্যবসায়িক চুক্তি বাস্তবায়নে ২২ দশমিক দুই, অর্থ ও ব্যবসায়িক মামলা নিষ্পত্তিতে মান মাত্র ২৮ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে ৩১ দশমিক আট। এই বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান না করে বিনিয়োগ, শিল্প উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে গতি আনার কাজ রাতারাতি এগিয়ে নেয়া যাবে না। সার্বিকভাবে বাংলাদেশে ব্যবসা করা কঠিন এবং পণ্য উৎপাদন করা ব্যয়বহুল। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার নামে হাজার কোটি খরচ হলো, তার সুফল বিনিয়োগে আসবে কবে? বিদ্যুৎ খাতে সরকার গত ১০ বছরে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিলেও ব্যবসা ও শিল্পের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রাপ্তি সহজ হয়নি। বরং ১০ বছরে ১০ বার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ব্যবসা সহজীকরণে বড় বাধা।

ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে অগ্রগতি হলে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং কর্মসংস্থান সার্বিকভাবে গতি পাবে। ২০২৪ সালে এলডিসি উত্তরণের আগেই প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আনার সক্ষমতা এবং বিনিয়োগের বোধগম্য অবকাঠামোগত উপযোগিতা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ব্যবসা সহজীকরণ সূচকের প্রতিটি উপখাতেই ব্যাপক অগ্রগতি প্রয়োজন। এই অগ্রগতিগুলো হলে এবং দেশে পণ্য উৎপাদন খরচ কমলেই জরুরি অবস্থায় কিংবা সংকটে বিদেশপানে তাকানোর বাধ্যবাধকতা কমে আসবে।

 

১০৪৫ বার পঠিত

শেয়ার করুন

Picture of ফয়েজ আহমদ তৈয়ব

ফয়েজ আহমদ তৈয়ব

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ, ১৯৮০ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম (মনোহরগঞ্জ) উপজেলার খিলা ইউনিয়নের বান্দুয়াইন গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক। তিনি ১৯৯৭ সালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৯৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ অধ্যয়ন করেন। ২০০৫ থেকে অদ্যাবধি টেলি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিনিয়র সফটওয়্যার সল্যুশন আর্কিটেক্ট হিসেবে ‘ভোডাফোন জিজ্ঞো’ নেদারল্যান্ডস-এ কর্মরত আছেন। ইতিপূর্বে তিনি এলকাটেল লুসেন্ট বাংলাদেশ, টেলিকম মালয়েশিয়া বাংলাদেশ একটেল (বর্তমান রবি), এমটিএন কমিউনিকেশনস নাইজেরিয়া, এরিকসন নাইজেরিয়া, এরিকসন ঘানা, এরিকসন দক্ষিণ কোরিয়া, এরিকসন নেদারল্যান্ডস এ কাজ করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ডিজাইন ও বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। জনাব ফয়েজ তৈয়্যব একজন ‘টেকসই উন্নয়ন ও অবকাঠামো’ বিষয়ক প্রবন্ধকার। টেকসই উন্নয়নের নিরিখে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের কাঠামোগত সংস্কার, সুশাসন, প্রতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং প্রযুক্তির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় জ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে বাংলাদেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধানের পর্যালোচনা করে থাকেন। তিনি তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের আর্থ সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চান। তাই এসকল বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মুক্ত চিন্তা স্বাধীন ভাবে প্রকাশের প্রয়াস করেন। তাঁর লিখায় যা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পায়ঃ সাস্টেইনএবল ডেভেলপমেন্ট এর নিরিখে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতিগত দিক, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ডিজাইন ত্রুটি, অর্থনীতি শিক্ষা স্বাস্থ্য ও কৃষি ইত্যাদি খাতের কারিগরি ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তনের কারিগরি প্রস্তুতি, ম্যাক্রো ও মাইক্রো ইকোনমিক ম্যানেজমেন্টের কারিগরি দিক এবং অটোমেশন। সামাজিক সংযোগের দিক থেকে উনি একজন টেকসই উন্নয়ন কর্মী, ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। গ্রীণপিস নেদারল্যান্ডস এর সদস্য। দৈনিক বণিকবার্তা, দৈনিক শেয়ারবিজ ও দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনের উপ সম্পাদকীয় কলাম লেখক।
Picture of ফয়েজ আহমদ তৈয়ব

ফয়েজ আহমদ তৈয়ব

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ, ১৯৮০ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম (মনোহরগঞ্জ) উপজেলার খিলা ইউনিয়নের বান্দুয়াইন গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক। তিনি ১৯৯৭ সালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৯৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ অধ্যয়ন করেন। ২০০৫ থেকে অদ্যাবধি টেলি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিনিয়র সফটওয়্যার সল্যুশন আর্কিটেক্ট হিসেবে ‘ভোডাফোন জিজ্ঞো’ নেদারল্যান্ডস-এ কর্মরত আছেন। ইতিপূর্বে তিনি এলকাটেল লুসেন্ট বাংলাদেশ, টেলিকম মালয়েশিয়া বাংলাদেশ একটেল (বর্তমান রবি), এমটিএন কমিউনিকেশনস নাইজেরিয়া, এরিকসন নাইজেরিয়া, এরিকসন ঘানা, এরিকসন দক্ষিণ কোরিয়া, এরিকসন নেদারল্যান্ডস এ কাজ করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ডিজাইন ও বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। জনাব ফয়েজ তৈয়্যব একজন ‘টেকসই উন্নয়ন ও অবকাঠামো’ বিষয়ক প্রবন্ধকার। টেকসই উন্নয়নের নিরিখে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের কাঠামোগত সংস্কার, সুশাসন, প্রতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং প্রযুক্তির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় জ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে বাংলাদেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধানের পর্যালোচনা করে থাকেন। তিনি তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের আর্থ সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চান। তাই এসকল বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মুক্ত চিন্তা স্বাধীন ভাবে প্রকাশের প্রয়াস করেন। তাঁর লিখায় যা বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পায়ঃ সাস্টেইনএবল ডেভেলপমেন্ট এর নিরিখে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতিগত দিক, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের ডিজাইন ত্রুটি, অর্থনীতি শিক্ষা স্বাস্থ্য ও কৃষি ইত্যাদি খাতের কারিগরি ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তনের কারিগরি প্রস্তুতি, ম্যাক্রো ও মাইক্রো ইকোনমিক ম্যানেজমেন্টের কারিগরি দিক এবং অটোমেশন। সামাজিক সংযোগের দিক থেকে উনি একজন টেকসই উন্নয়ন কর্মী, ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্ট। গ্রীণপিস নেদারল্যান্ডস এর সদস্য। দৈনিক বণিকবার্তা, দৈনিক শেয়ারবিজ ও দৈনিক প্রথম আলো অনলাইনের উপ সম্পাদকীয় কলাম লেখক।

মতামত প্রকাশ করুন

Scroll to Top