- আল্লামা ড. মুহাম্মদ ইকবাল
আল্লামা ইকবাল১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণ করেন। ইকবালের পূর্বপুরুষরা ছিলেন সাপ্রু বংশীয় কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ। সপ্তদশ শতাব্দীর কোন এক সময় জনৈক সুফির সংস্পর্শে এসে পরিবারটি ইসলাম গ্রহণ করে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের সময় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার দরুন এই পরিবার কাশ্মীর ত্যাগ করে শিয়ালকোটে বসতি স্থাপন করে। আল্লামা ইকবালের পিতার নাম নূর মোহাম্মদ। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়নিষ্ঠ,ধার্মিক,তাসাউফের অনুরাগি এবং সূফি তরিকার অনুবর্তী। তার মা ইমন বিবিও ছিলেন সমান ধর্মপ্রাণা। আল্লামা ইকবাল দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন।আল্লামা ইকবাল তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন শিয়ালকোটের মিশনারি স্কুলে। এখানেই তিনি তাঁর প্রবেশিকা পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি একই শহরের স্কচ মিশন কলেজ থেকে এফ.এ পাস করেন। ১৮৯৭ সালে তিনি ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে অগ্রবর্তী ছাত্র হিসেবে যোগ দেন এবং একই সাথে লিংকনস ইনে আইন অধ্যায়নের জন্য ভর্তি হন। ক্যামব্রিজে প্রখ্যাত প্রাচ্যবিদ ম্যাকটেগার্টের তত্ত্বাবধানে তিনি কাজ করেন এবং "ফিলোসফিক্যাল ট্রিপস ডিগ্রি" অর্জন করেন।এসময়ে তিনি মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ডক্টরের ডিগ্রির জন্য যোগ দেন এবং এখানে তার বিখ্যাত অভিসন্দর্ভ,"দ্যা ডেভলপমেন্ট অফ মেটাফিজিকস ইন পার্শিয়া" জমা দিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর সেখান থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে এসে ইকবাল ১৯০৭ সালে ব্যারিস্টারি পাশ করেন।ইতোপূর্বে এম.এ পাশ করবার পরে তিনি লাহোরের অরিয়েন্টাল কলেজে আরবির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পরেই ইংরেজি ও দর্শনের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে তিনি লাহোর সরকারি কলেজে যোগদান করেন। ১৯০৯ সাল থেকে তিনি সার্বক্ষণিক আইনি পেশায় নিয়োজিত হন। তিনি একজন উঁচুমাপের লেখকের পাশাপাশি একজন সফল আইনজীবীও ছিলেন।আল্লামা ইকবাল ছিলেন একজন দার্শনিক। আধুনিকোত্তর পৃথিবীতে ইসলাম যখন অনেকটা নির্জীব তখনই আল্লামা ইকবাল একটি গতিধর্মী ও বিপ্লবী ইসলামের ব্যাখ্যা দান করেন। তিনি তার অদম্য চিন্তাশক্তি দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন যে, একদিকে সর্বভুক আগ্রাসী পাশ্চাত্যের দাপাদাপি অন্যদিকে স্বসম্প্রদায়ের রাষ্ট্রিক, সামাজিক,অর্থনৈতিক, তমুদ্দুনিক নির্জীবতা ও অবক্ষয়ের এটিই হচ্ছে একমাত্র উত্তরণের পথ।এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে মুসলমানের আত্মবিশ্বাস ও আত্মপ্রতিষ্ঠার নির্ভুল উপায়।ইসলামী রেনেসাঁর কবি ও মহান এই দার্শনিক ১৯৩৮ সালের ২১শে এপ্রিল ইন্তেকাল করেন।আল্লামা ইকবালের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজ :(১)ইলম আল ইক্তিউদ (The Science of Economics)- উর্দু ছন্দে (ca ১৯০১)(২)Islam as an Ethical and Political Ideal- ইংরেজি (১৯০৮)(৩)The Development of Metaphysics in Persia- ইংরেজি (১৯০৮) ( বাংলা অনুবাদ : প্রজ্ঞান চর্চায় ইরান)(৪)আসরার ই খুদি (The Secrets of the Self)- ফার্সি (১৯১৫)(৫)রুমিজ ই বেখুদি (The Mysteries of Selflessness)- ফার্সি (১৯১৭)(৬)পয়গাম ই মাশরিক (The Message of the East)- ফার্সি (১৯২৩)(৭)বাং ই দারা (The Call of the Marching Bell)- উর্দু ও ফার্সি (১৯২৪)(৮)জুবুর ই আজাম (The Psalms of Persia)- ফার্সি (১৯২৭)(৯)The Reconstruction of Religious Thought in Islam- (ইসলামে ধর্মীয় চিন্তার পুনর্গঠন) (১৯৩০)(১০)জাভেদ নামা (The Book of Eternity)- ফার্সি (১৯৩২)(১১)বাল ই জিবরাইল (The Gabriel’s Wings)- উর্দু ও ফার্সি (১৯৩৩)(১২)পাস ছে বায়াদ কারদ আই আক্বওয়াম ই শারক (So What Should be Done O Oriental Nations)- ফার্সি (১৯৩৬)-(১৩)মুসাফির (The Wayfarer)- ফার্সি (১৯৩৬)(১৪)জারব ই কালিম (The Blow of Moses) উর্দু ও ফার্সি (১৯৩৬)(১৫)আরমাঘান ই হিজাজ (The Gift for Hijaz)- ফার্সি ও উর্দু (১৯৩৮)
আল্লামা ইকবাল১৮৭৭ সালের ৯ নভেম্বর বর্তমান পাকিস্তানের শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণ করেন। ইকবালের পূর্বপুরুষরা ছিলেন সাপ্রু বংশীয় কাশ্মীরি ব্রাহ্মণ। সপ্তদশ শতাব্দীর কোন এক সময় জনৈক সুফির সংস্পর্শে এসে পরিবারটি ইসলাম গ্রহণ করে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের সময় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার দরুন এই পরিবার কাশ্মীর ত্যাগ করে শিয়ালকোটে বসতি স্থাপন করে। আল্লামা ইকবালের পিতার নাম নূর মোহাম্মদ। তিনি ছিলেন একজন ন্যায়নিষ্ঠ,ধার্মিক,তাসাউফের অনুরাগি এবং সূফি তরিকার অনুবর্তী। তার মা ইমন বিবিও ছিলেন সমান ধর্মপ্রাণা। আল্লামা ইকবাল দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন।আল্লামা ইকবাল তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন শিয়ালকোটের মিশনারি স্কুলে। এখানেই তিনি তাঁর প্রবেশিকা পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি একই শহরের স্কচ মিশন কলেজ থেকে এফ.এ পাস করেন। ১৮৯৭ সালে তিনি ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে অগ্রবর্তী ছাত্র হিসেবে যোগ দেন এবং একই সাথে লিংকনস ইনে আইন অধ্যায়নের জন্য ভর্তি হন। ক্যামব্রিজে প্রখ্যাত প্রাচ্যবিদ ম্যাকটেগার্টের তত্ত্বাবধানে তিনি কাজ করেন এবং "ফিলোসফিক্যাল ট্রিপস ডিগ্রি" অর্জন করেন।এসময়ে তিনি মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ডক্টরের ডিগ্রির জন্য যোগ দেন এবং এখানে তার বিখ্যাত অভিসন্দর্ভ,"দ্যা ডেভলপমেন্ট অফ মেটাফিজিকস ইন পার্শিয়া" জমা দিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর সেখান থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে এসে ইকবাল ১৯০৭ সালে ব্যারিস্টারি পাশ করেন।ইতোপূর্বে এম.এ পাশ করবার পরে তিনি লাহোরের অরিয়েন্টাল কলেজে আরবির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এর কিছুদিন পরেই ইংরেজি ও দর্শনের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে তিনি লাহোর সরকারি কলেজে যোগদান করেন। ১৯০৯ সাল থেকে তিনি সার্বক্ষণিক আইনি পেশায় নিয়োজিত হন। তিনি একজন উঁচুমাপের লেখকের পাশাপাশি একজন সফল আইনজীবীও ছিলেন।আল্লামা ইকবাল ছিলেন একজন দার্শনিক। আধুনিকোত্তর পৃথিবীতে ইসলাম যখন অনেকটা নির্জীব তখনই আল্লামা ইকবাল একটি গতিধর্মী ও বিপ্লবী ইসলামের ব্যাখ্যা দান করেন। তিনি তার অদম্য চিন্তাশক্তি দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন যে, একদিকে সর্বভুক আগ্রাসী পাশ্চাত্যের দাপাদাপি অন্যদিকে স্বসম্প্রদায়ের রাষ্ট্রিক, সামাজিক,অর্থনৈতিক, তমুদ্দুনিক নির্জীবতা ও অবক্ষয়ের এটিই হচ্ছে একমাত্র উত্তরণের পথ।এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে মুসলমানের আত্মবিশ্বাস ও আত্মপ্রতিষ্ঠার নির্ভুল উপায়।ইসলামী রেনেসাঁর কবি ও মহান এই দার্শনিক ১৯৩৮ সালের ২১শে এপ্রিল ইন্তেকাল করেন।আল্লামা ইকবালের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজ :(১)ইলম আল ইক্তিউদ (The Science of Economics)- উর্দু ছন্দে (ca ১৯০১)(২)Islam as an Ethical and Political Ideal- ইংরেজি (১৯০৮)(৩)The Development of Metaphysics in Persia- ইংরেজি (১৯০৮) ( বাংলা অনুবাদ : প্রজ্ঞান চর্চায় ইরান)(৪)আসরার ই খুদি (The Secrets of the Self)- ফার্সি (১৯১৫)(৫)রুমিজ ই বেখুদি (The Mysteries of Selflessness)- ফার্সি (১৯১৭)(৬)পয়গাম ই মাশরিক (The Message of the East)- ফার্সি (১৯২৩)(৭)বাং ই দারা (The Call of the Marching Bell)- উর্দু ও ফার্সি (১৯২৪)(৮)জুবুর ই আজাম (The Psalms of Persia)- ফার্সি (১৯২৭)(৯)The Reconstruction of Religious Thought in Islam- (ইসলামে ধর্মীয় চিন্তার পুনর্গঠন) (১৯৩০)(১০)জাভেদ নামা (The Book of Eternity)- ফার্সি (১৯৩২)(১১)বাল ই জিবরাইল (The Gabriel’s Wings)- উর্দু ও ফার্সি (১৯৩৩)(১২)পাস ছে বায়াদ কারদ আই আক্বওয়াম ই শারক (So What Should be Done O Oriental Nations)- ফার্সি (১৯৩৬)-(১৩)মুসাফির (The Wayfarer)- ফার্সি (১৯৩৬)(১৪)জারব ই কালিম (The Blow of Moses) উর্দু ও ফার্সি (১৯৩৬)(১৫)আরমাঘান ই হিজাজ (The Gift for Hijaz)- ফার্সি ও উর্দু (১৯৩৮)
- All Posts
- আন্তর্জাতিক রাজনীতি
- চিন্তা ও দর্শন
- ফিচারড
- বাংলাদেশ সম্পর্কিত রিপোর্ট ও লেখা
- ব্যক্তিত্ব
- মুসলিম উম্মাহ
- রাজনীতি ও অর্থনীতি
- সভ্যতা
- সমাজ ও সংস্কৃতি
- সাক্ষাৎকার ও ব্যক্তিত্ব
- Back
- রাজনীতি
- অর্থনীতি
- Back
- দর্শন
- তাসাউফ ও আধ্যাত্মিকতা
- ইসলামী দর্শন
- উসূল ও মেথডোলজি
- আখলাক ও নন্দনতত্ত্ব
- ইলমুল কালাম
- ইসলামী চিন্তা
- মাকাসিদ আশ শারীয়াহ
- Back
- ইতিহাস
- সমাজবিজ্ঞান
- Back
- বিশ্বব্যাপী ইসলামী আন্দোলন
- উপমহাদেশ
- Back
- কৃষি
- বাংলাদেশ
- Back
- বই পর্যালোচনা
- Back
- সংস্কৃতি
- শিল্পকলা
- শহর ও স্থাপত্য
- সিনেমা পর্যালোচনা
- মিউজিক
- সাহিত্য