আজ আফ্রিকার কথা উঠলেই আমাদের সামনে ভেসে উঠে হাড্ডিসার ও বুভুক্ষু মানুষের চেহারা। কিন্তু এই আফ্রিকা মহাদেশ কি এমন ছিল? না। মোটেই না।

আমাদের ইসলামী সংস্কৃতি ও সভ্যতায় আফ্রিকা হল, মদিনা মুনাওয়ারার পূর্বের হিজরতস্থল। আফ্রিকানরা হল সেই সকল মানুষ যারা সর্বপ্রথম মক্কার নির্যাতিত নিপীড়িত মুসলমানদেরকে তাদের কোলে আশ্রয় দিয়েছিলেন, নিজেদের ঘরকে মক্কা থেকে আগত মুহাজিরদের জন্য ছেঁড়ে দিয়েছিলেন। এই ভাবে আফ্রিকানরা সর্বপ্রথম মুসলমানদের ‘আনসার’ হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন।

আফ্রিকা হল এমন এক ভূমি, যে ভূমিকে মুসলমানগণ তাদের বসবাসের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। রাসূলে আকরাম (সঃ) এর সময়কাল থেকেই এই আফ্রিকা মহাদেশ মুসলমানদেরকে বরণ করে এসেছে। তাইতো বিংশ শতাব্দীর শুরুতেও মুসলমানগণ ছিলেন এই মহাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপ এই অঞ্চলের মানুষদের উপর নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়ে আজ মুসলমানদেরকেই করেছে এখানে সংখ্যালঘু। আজ আফ্রিকা মহাদেশে মুসলমানদের সংখ্যা ৪০% এরও নীচে!

আফ্রিকায় হিজরতকারী প্রথম মুহাজিরদের মধ্যে রাসূলে আকরাম (সঃ) এর প্রিয়তমা কন্যা হজরত রুকাইয়া (রাঃ) ছিলেন। হযরত জা’ফর (রাঃ) এর নেতৃত্বে মুসলমানগণ যেদিন থেকে হাবশার বাদশাহ নাজ্জাশীর মুসাফির হয়েছিলেন সেদিন থেকে নিয়ে বর্তমান সময় পর্যন্তও এই মহাদেশ ইলম, ইরফান, আখলাক, সংস্কৃতি এবং সভ্যতাসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে যে সকল অবদান রেখেছে পৃথিবীর ইতিহাসে তা এখনো স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে।

আফ্রিকা; হযরত উমর (রাঃ), হযরত উসমান (রাঃ), হযরত আলী (রাঃ), হযরত বিলাল (রাঃ), হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ), আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ (রাঃ), উকবা বিন নাফে (রাঃ), উমর ইবনে আব্দুল আযিয (রহঃ), তারিক বিন যিয়াদ, আহমেদ বিন তলুন এবং ইউসুফ বিন তাশফিনের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে।

৬৪১ সালে আমর ইবনুল আসের (রাঃ) মিশর বিজয়ের মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশে ইসলাম বিজয়ীর বেশে প্রবেশ করে এবং এরপর মিশরের ফুসতাত, আয়সুত; তিউনিশিয়ার কায়রাওয়ান; মরক্কোর ফেস, সিজিলমাসে; মালির তিমবুক্তি; সুদানের সিন্নার; ইথিওপিয়ার হারার; সোমালির যেয়লা এবং মোগাদিসু; কেনিয়ার মোম্বাসা, তানজানিয়ার যেনযিবার; আলজেরিয়ার তাহেরত, লিবিয়ার ত্রাবলুসগারব আফ্রিকা মহাদেশে ইসলামী সভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে এই মহাদেশে আলোকিত করে রেখেছিল হাজার বছর ধরে!

ইসলামের অন্তর্নিহিত শক্তি এবং এর সৌন্দর্য এই মহাদেশের মানুষকে আকৃষ্ট করেছিল প্রবলভাবে, দলে দলে তাই মানুষ ইসলামের পতাকাতলে আশ্রয় নিয়েছিল এবং অল্প সময়ের ব্যবধানে আফ্রিকার অনেক শহর ইসলামী সভ্যতার কেন্দ্রভূমিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। ইসলামী সভ্যতায় আফ্রিকার যে অবদান তা আজও আমাদের সভ্যতার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত। আসাদ বিন ফুরাত, সাহনুন, জেইলানী, ইবনে খালদুন, ইবনে বতুতা, ইমাম সুয়ুতী, আহমেদ আত-তিজানী, মুহাম্মাদ আস-সানুসী, খায়রুদ্দিন তিউনিসি এবং আরো অনেক মহান ব্যক্তিবর্গ এই আফ্রিকারই সন্তান। এই সকল মহান ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি মানুষের অন্তরকে বিজয় করে তাদের হৃদয়পটে ইসলামের বীজ বপন করার জন্য অনেক তরিকতের জন্ম হয়, এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল, শেজালী, তিজানী, সানুসি এবং সামানিয়্যা।

আফ্রিকা মহাদেশ একই সাথে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সিল্করোড ও মসলা পরিবহনের রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে রাজনীতি ও অর্থনীতিতেও অসামান্য অবদান রেখেছে।

আফ্রিকা মহাদেশের এই সম্ভাবনা ও অবদানকে সামনে রেখে এই মহাদেশের ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য প্রায় দীর্ঘ চারশত বছর উসমানী খিলাফত এই অঞ্চলকে ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। যেমন, বারবারস খাইরুদ্দিন পাশা শুধুমাত্র উসমানী খিলাফতের একজন বীর নন একই সাথে তিনি আফ্রিকারও একজন বীর, তিঊনিশিয়ার খাইরুদ্দিন পাশা, আলজেরিয়ার উস্তাজ হামদান কেবলমাত্র তাদের নিজেদের দেশের জন্য নয় সমগ্র মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। পিরি রেইস কেবলমাত্র একজন উসমানী নাবিকই নন, একই সাথে তিনি ভারত মহাসাগরের আশেপাশের মুসলিম দেশসমূহেরও একজন নাবিক ছিলেন।

উসমানী খলিফা, সুলতান সেলিম ইয়াভুজ আফ্রিকাকে অবরুদ্ধ কারী স্পেনিশ ও পর্তুগীজদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করার জন্য তিনি নিজে মিশরে যান এবং সেখানে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কানুনী সুলতান সুলায়মান আফ্রিকান মুসলমানদের জন্য সকল কিছুর বন্দোবস্ত করেন, সুলতান আব্দুল আজিজ দক্ষিন আফ্রিকার মুসলমানদের শান্তির জন্য উসমানী আলেম আবু বকর এফেন্দিকে সেখানে পাঠান।

দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ ইথিওপিয়ার হারার মুসলমানদের জন্য সেই দেশের সম্রাটের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিনিধি দল প্রেরণ করেন। এক কথায় বলতে গেলে, উসমানীগণ; ইস্তানবুলের জন্য যেমন পেরেশান ছিলেন একই ভাবে মোগাদিশু, তিম্বুকতি, ফেস, মোমবাসা, কায়রাওয়ান, ফুসতাত এবং খারতুমের জন্যও একই ভালোবাসা ও পেরেশানী লালন করতেন। যার কারণেই মরুপ্রান্তরে শত শত উসমানী সেনাবাহিনী জীবন দিয়েছেন তাদের আফ্রিন মুসলিম ভাইদেরকে রক্ষা করার জন্য।

কিন্তু উসমানী খিলাফতের পতনের পর সাম্রাজ্যবাদী শক্তি তাদের শক্তি ও অস্রের পরীক্ষার জন্য আফ্রিকা মহাদেশকে বেছে নেয়। এই অঞ্চলকে শোষণ করে তারা তাদের সুখের মহা অট্টালিকা গড়ে তুলে। সাম্রাজ্যবাদীরা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই মহাদেশকে সকল দিক থেকে শোষণ করছে। এই সকল শোষকগোষ্ঠী তাদের চাতুরতার মাধ্যমে এখনো এই অঞ্চলকে শোষণ করে চলছে। এই  সাম্রাজ্যবাদীরা কেবলমাত্র তাদের সম্পদকে লুণ্ঠন করেই ক্ষান্ত হয়নি  একই সাথে তারা এই অঞ্চলে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সকল কিছুকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।

এত কিছুর পরেও আফ্রিকার মুসলমানরা থেমে নেই, তারা তাদের অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যেন তাদের হৃত গৌরবকে ফিরিয়ে আনতে পারে তাই আজ আমাদের প্রয়োজন তাদের পাশে দাঁড়ানো। তারা আজ তীর্থের কাকের মত তাকিয়ে আছে মুসলিম উম্মাহর লক্ষ্যপানে।

 

১২১২ বার পঠিত

শেয়ার করুন

Picture of বুরহান উদ্দিন আজাদ

বুরহান উদ্দিন আজাদ

অনুবাদক এবং জ্ঞান ও সভ্যতা বিষয়ক গবেষক বুরহান উদ্দিন আজাদ জামালপুর জেলার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। দেশসেরা মাদরাসা থেকে আলেম পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে তুরস্কে গমন করেন এবং তুরস্কের আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, মিডল ইস্ট টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও আঙ্কারা সোস্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশুনা করেন। তুরস্কে অবস্থানকালে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে সাথে বড় বড় আলেম, স্কলার, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদের সান্নিধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, উসূল ও মাকাসিদসহ আরও অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষালাভের পাশাপাশি Institute of Islamic Thought এবং Economic and Social Researches Center এর মত প্রসিদ্ধ দুইটি প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে অবস্থান করছেন এবং European Youth Association এর ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ত্ব পালন করছেন। এছাড়াও দেশের উল্লেখযোগ্য দুইটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন।তাঁর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনূদিত গ্রন্থের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা ও ব্লগসাইটে উম্মাহর বিভিন্ন অঞ্চলের আলেম, দার্শনিক ও মুতাফাক্কিরগণের গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।তার অনূদিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো হলো; ১। ইসলাম ও জ্ঞান || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান ২। দাওয়াম || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান ৩। ইসলাম শিক্ষা || প্রফেসর ডঃ সাইফুদ্দিন ইয়াজিযি ৪। উসমানী খিলাফতের ইতিহাস || প্রফেসর ডঃ ইহসান সুরাইয়্যা সিরমা ৫। মুসলিম যুবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য || প্রফেসর ডঃ ইউসুফ আল কারদাভী ৬। Müslüman Lider Nasıl Olmalı || Prof. Gulam Azam (İlk Baskı, 2019) ৭। ইসলামী জ্ঞানে উসূলের ধারা || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ (প্রথম প্রকাশ, ২০১৯) ৮। বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম উম্মাহ এবং সভ্যতা || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ৯। ইসলামী ডেক্লারেশন || আলীয়া ইজ্জেতবেগভিচ ১০। বিশ্বব্যাপী আখলাকী সংকট || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ১১। সুন্নত ও হাদীস বুঝার মেথডোলজি || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ১২। ইসলামী সভ্যতায় নারী || ড: খাদিজা গরমেজ ১৩। ন্যায়ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা ও নতুন দুনিয়া || প্রফেসর ড: নাজমুদ্দিন এরবাকান (প্রকাশিতব্য) ১৪। জ্ঞানের পুনর্জাগরণ ও মেথডোলজি ¬¬|| প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন (প্রকাশিতব্য) ১৫। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর শিক্ষাদান পদ্ধতি || ইবরাহীম হালিল আর ১৬। আমাদের আন্দোলনের মূলভিত্তি || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান (প্রকাশিতব্য)তাঁর অনূদিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধসসমূহ হলঃ১।ইবনে খালদুন ও ইলমুল উমরান || প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন ২।শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী ও উসূল || প্রফেসর ড: মেহমেদ গরমেজ ৩।ইসলামী চিন্তার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ || প্রফেসর ড: উমর তুরকের ৪।আল্লামা ত্বহা আব্দুর রহমানের চিন্তাদর্শন || প্রফেসর ড: মেহমেদ গরমেজ ৫।আল কোরআনের ১৪০০ বছর পূর্তিতে তাফাক্কুর || আলীয়া ইজ্জেতবেগভিচ ৬। ইমাম আল-মাওয়ার্দি ও তাঁর চিন্তাধারা || প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন ৭। ইবনে খালদুন ও ইলমূল উমরান || প্রফেসর ডঃ তাহসিন গরগুন ৮। পাশ্চাত্য চিন্তার ভিত্তি || প্রফেসর ডঃ তাহসিন গরগুন
Picture of বুরহান উদ্দিন আজাদ

বুরহান উদ্দিন আজাদ

অনুবাদক এবং জ্ঞান ও সভ্যতা বিষয়ক গবেষক বুরহান উদ্দিন আজাদ জামালপুর জেলার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। দেশসেরা মাদরাসা থেকে আলেম পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে তুরস্কে গমন করেন এবং তুরস্কের আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, মিডল ইস্ট টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও আঙ্কারা সোস্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশুনা করেন। তুরস্কে অবস্থানকালে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে সাথে বড় বড় আলেম, স্কলার, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদের সান্নিধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, উসূল ও মাকাসিদসহ আরও অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষালাভের পাশাপাশি Institute of Islamic Thought এবং Economic and Social Researches Center এর মত প্রসিদ্ধ দুইটি প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে অবস্থান করছেন এবং European Youth Association এর ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ত্ব পালন করছেন। এছাড়াও দেশের উল্লেখযোগ্য দুইটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন।তাঁর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনূদিত গ্রন্থের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা ও ব্লগসাইটে উম্মাহর বিভিন্ন অঞ্চলের আলেম, দার্শনিক ও মুতাফাক্কিরগণের গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।তার অনূদিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো হলো; ১। ইসলাম ও জ্ঞান || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান ২। দাওয়াম || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান ৩। ইসলাম শিক্ষা || প্রফেসর ডঃ সাইফুদ্দিন ইয়াজিযি ৪। উসমানী খিলাফতের ইতিহাস || প্রফেসর ডঃ ইহসান সুরাইয়্যা সিরমা ৫। মুসলিম যুবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য || প্রফেসর ডঃ ইউসুফ আল কারদাভী ৬। Müslüman Lider Nasıl Olmalı || Prof. Gulam Azam (İlk Baskı, 2019) ৭। ইসলামী জ্ঞানে উসূলের ধারা || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ (প্রথম প্রকাশ, ২০১৯) ৮। বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম উম্মাহ এবং সভ্যতা || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ৯। ইসলামী ডেক্লারেশন || আলীয়া ইজ্জেতবেগভিচ ১০। বিশ্বব্যাপী আখলাকী সংকট || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ১১। সুন্নত ও হাদীস বুঝার মেথডোলজি || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ১২। ইসলামী সভ্যতায় নারী || ড: খাদিজা গরমেজ ১৩। ন্যায়ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা ও নতুন দুনিয়া || প্রফেসর ড: নাজমুদ্দিন এরবাকান (প্রকাশিতব্য) ১৪। জ্ঞানের পুনর্জাগরণ ও মেথডোলজি ¬¬|| প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন (প্রকাশিতব্য) ১৫। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর শিক্ষাদান পদ্ধতি || ইবরাহীম হালিল আর ১৬। আমাদের আন্দোলনের মূলভিত্তি || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান (প্রকাশিতব্য)তাঁর অনূদিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধসসমূহ হলঃ১।ইবনে খালদুন ও ইলমুল উমরান || প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন ২।শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী ও উসূল || প্রফেসর ড: মেহমেদ গরমেজ ৩।ইসলামী চিন্তার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ || প্রফেসর ড: উমর তুরকের ৪।আল্লামা ত্বহা আব্দুর রহমানের চিন্তাদর্শন || প্রফেসর ড: মেহমেদ গরমেজ ৫।আল কোরআনের ১৪০০ বছর পূর্তিতে তাফাক্কুর || আলীয়া ইজ্জেতবেগভিচ ৬। ইমাম আল-মাওয়ার্দি ও তাঁর চিন্তাধারা || প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন ৭। ইবনে খালদুন ও ইলমূল উমরান || প্রফেসর ডঃ তাহসিন গরগুন ৮। পাশ্চাত্য চিন্তার ভিত্তি || প্রফেসর ডঃ তাহসিন গরগুন

মতামত প্রকাশ করুন

Scroll to Top