পবিত্র কুরআনে বর্ণিত মুমিনের ৫০টি গুণাবলী

মু’মিন হিসেবে আমার কেমন হওয়া উচিত ? এর প্রশ্নের জবাব স্বয়ং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। আমি এখানে ৫০ টি গুনাবলীকে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।

১/ আল্লাহ তা’য়ালার নাম নিলে ভয়ে অন্তর কেঁপে উঠবেঃ
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَىٰ رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ

অর্থঃ  ঈমানদার তো তারাই আল্লাহকে স্মরণ করা হলে যাদের হৃদয় কেঁপে উঠে ৷ আর আল্লাহর আয়াত যখন তাদের সামনে পড়া হয়, তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা নিজেদের রবের ওপর ভরসা করে ৷ (সূরা আনফাল ২)

২/ আল্লাহ তা’য়ালার সাথে কক্ষণো শিরক করবে নাঃ
لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ

অর্থঃ  তারা আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্যকে ডাকে না। (সূরা ফুরকান ৬৮)

৩/ জিনা করবে নাঃ
وَلَا يَزْنُونَ
অর্থঃ ব্যভিচার করে না ৷(সূরা ফুরকান ৬৮)

৪/ নিজেদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করেঃ
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ
অর্থঃ নিজেদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। (সূরা মুমিনুন ৫)

৫/ খুশু সহকারে নামাজ আদায় করেঃ
الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ

অর্থঃ যারা নিজেদের নামাযে বিনয়াবনত হয়,
وَالَّذِينَ هُمْ عَلَىٰ صَلَوَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ

এবং নিজেদের নামাযগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে,
( সূরা মুমিনুন ২, ৯)

৬/ পিতা মাতার প্রতি উফ শব্দও করে নাঃ
فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ
অর্থঃ তাদেরকে “উহ্‌” পর্যন্তও বলো না (সূরা ইসরা ২৩)

৭/ অযথা এবং বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে
وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ
অর্থঃ বাজে কাজ থেকে দূরে থাকে। (সূরা মুমিনুন ৩)

৮/ জান মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে।

৯/ কক্ষণোই ধারণা করে কাজ করে নাঃ
وَقَالُوا مَا هِيَ إِلَّا حَيَاتُنَا الدُّنْيَا نَمُوتُ وَنَحْيَا وَمَا يُهْلِكُنَا إِلَّا الدَّهْرُ ۚ وَمَا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ ۖ إِنْ هُمْ إِلَّا يَظُنُّونَ

অর্থঃ এরা বলে : জীবন বলতে তো শুধু আমাদের দুনিয়ার এই জীবনই ৷ আমাদের জীবন ও মৃত্যু এখানেই এবং কালের বিবর্তন ছাড়া আর কিছুই আমাদের ধ্বংস করে না ৷ প্রকৃতপক্ষে এ ব্যাপারে এদের কোন জ্ঞান নেই ৷ এরা শুধু ধারণার বশবর্তী হয়ে এসব কথা বলে ৷(সূরা জাসিয়া ২৪)

১০/ মূর্খদের সাথে কক্ষণো তর্ক করে নাঃ

وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا

অর্থঃ মূর্খরা তাদের সাথে কথা বলতে থাকলে সালাম বলে দেয় (সূরা ফুরকান ৬৩)

১১/ নিন্দুকের নিন্দাকে পরওয়া করে নাঃ
وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ۚ
অর্থঃ যারা আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা (সূরা মায়েদা ৫৪)

১২/ কক্ষণো মিথ্যা কথা বলবে নাঃ

১৩/ আমানতের খিয়ানত করে না।

وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ
অর্থঃ  নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে ।

১৪/ প্রতিশ্রুতি দিলে রক্ষা করে।
وَالْمُوفُونَ بِعَهْدِهِمْ إِذَا عَاهَدُوا

অর্থঃ যা অঙ্গীকার করে তা পূর্ণ করে (সূরা বাকারা ১৭৭)

১৫/ পরিপূর্ণ ভাবে যাকাত আদায় করে।
وَآتَى الزَّكَاةَ

অর্থঃ যাকাত দান করবে (সূরা বাকারা ১৭৭)

১৬/ ইয়াতিমের হক নষ্ট করে না।
وَآتُوا الْيَتَامَىٰ أَمْوَالَهُمْ
অর্থঃ এতিমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দাও ৷ (সূরা নিসা ২)

১৭/ রাস্তায় অবস্থানরতদের সাহায্য করে।
সূরা বাকারা ১৭৭ নম্বর আয়াত দেখুন।

১৮/ কাফিরদের সাথে শক্ত দিল আর মুমিনদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করে।
أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ
অর্থঃ মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল ৷ আর যারা তাঁর সাথে আছে তারা কাফেরদের বিরুদ্ধে আপোষহীন  এবং নিজেরা পরস্পর দয়া পরবশ ৷ (সূরা ফাতহ ২৯)

১৯/মানুষের ভুল – ভ্রান্তিকে ক্ষমা করে।
وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ
অর্থঃ অন্যের দোষ – ক্রটি মাফ করে দেয় ৷ (সূরা আলে-ইমরান ১৩৪)

২০/ সর্বাবস্থায় কেবল মাত্র আল্লাহ তা’য়ালার উপরেই নির্ভর করে। কেবল মাত্র মুমিনদেরকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।
لَّا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَن تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً ۗ وَيُحَذِّرُكُمُ اللَّهُ نَفْسَهُ ۗ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ

অর্থঃ মু’মিনরা যেন ঈমানদারদের বাদ দিয়ে কখনো কাফেরদেরকে নিজেদের পৃষ্ঠপোষক, বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে গ্রহণ না করে ৷ যে এমনটি করবে, আল্লাহর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই ৷ তবে হ্যাঁ, তাদের জুলুম থেকে আত্মরক্ষার জন্য তোমরা যদি বাহ্যত এ নীতি অবলম্বন করো তাহলে তা মাফ করে দেয়া হবে ৷ কিন্তু আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর নিজের সত্ত্বার ভয় দেখাচ্ছেন আর তোমাদের তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে ৷ (আলে – ইমরান ২৮)

২২/ অভাব অনটন এবং স্বচ্ছলতায় সর্বাবস্থায় দান করে।
الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّا
অর্থঃ যারা স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে (আলে-ইমরান ১৩৪)

২৩/ রাগান্বিত হলে রাগকে দমন করে।
وَالْكَاظِمِينَ الْغَيْظَ
অর্থঃ যারা ক্রোধ দমন করে (আলে-ইমরান ১৩৪)

২৪/ অন্যদের উপাস্যকে গালি দিবে না।
وَلَا تَسُبُّوا الَّذِينَ يَدْعُونَ مِن دُونِ اللَّهِ
অর্থঃ আর ( হে ঈমানদারগণ!) এরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাকে তোমরা তাদেরকে গালি দিয়ো না ৷ (আনআম ১০৮)

২৫/ অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যা করবে না।
وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ

অর্থঃ আল্লাহ যে প্রাণকে মর্যাদা দান করেছেন ন্যায় সংঘত কারণ ছাড়া তাকে ধ্বংস করো না (আনআম ১৫১)

২৬/ আল্লাহর আয়াতকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা যাবে না।
لَا يَشْتَرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا

অর্থঃআল্লাহর আয়াতকে সামান্য দামে বিক্রি করে না (আলে ইমরান ১৯৯)

২৭/ মিথ্যার রঙে রাঙিয়ে সত্যকে সন্দেহযুক্ত করো না এবং জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করো না। 
وَلَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ

অর্থঃ মিথ্যার রঙে রাঙিয়ে সত্যকে সন্দেহযুক্ত করো না এবং জেনে বুঝে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করো না (বাকারা ৪২)

২৮/ মানুষকে একথা বলতে পারবে না যে ‘’তুমি মুমিন নও’’।
ً يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَىٰ إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا

অর্থঃ হে ঈমানদারগণ ! যখন তোমরা আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বের হও তখন বন্ধু ও শত্রুর মধ্যে পার্থক্য করো এবং যে ব্যক্তি সালামের মাধ্যমে তোমাদের দিকে এগিয়ে আসে তাকে সাথে সাথেই বলে দিয়ো না যে, তুমি মুমিন নও ৷ (সূরা নিসা ৯৪)

২৯/ কোন রাসূলের মধ্যে পার্থক্য করে না।
قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنزِلَ إِلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ

অর্থঃহে মুসলমানরা ! তোমরা বলো, “আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি, যে হিদায়াত আমাদের জন্য নাযিল হয়েছে তার প্রতি এবং যা ইব্রাহীম, ইসমাঈল , ইসহাক , ইয়াকুব ও ইয়াকুবের সন্তানদের তাদের রবের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল তার প্রতি ৷ তাদের করোর মধ্যে আমরা কোন পার্থক্য করি না । আমরা সবাই আল্লাহর অনুগত মুসলিম ৷” (বাকারা ১৩৬)

৩০/ মাটিতে নম্রভাবে চলাফেরা করে।
وَعِبَادُ الرَّحْمَٰنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا

অর্থঃরহমানের (আসল) বান্দা তারাই , যারা পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে (ফুরকান ৬৩)

৩১/ সঠিকভাবে ওজন করে এবং ওজনে কম দেয় না।
وَيْلٌ لِّلْمُطَفِّفِينَ

অর্থঃধবংস তাদের জন্য যারা ওজনে কম দেয় ৷

وَأَوْفُوا الْكَيْلَ وَالْمِيزَانَ بِالْقِسْطِ
ওজন ও পরিমাপে পুরোপুরি ইনসাফ করো (আনআম ১৫২)

৩২/ হালাল এবং পাক পবিত্র জিনিস ভক্ষণ করে।
يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ﴾

অর্থঃহে মানব জাতি ! পৃথিবীতে যে সমস্ত হালাল ও পাক জিনিস রয়েছে সেগুলো খাও এবং শয়তানের দেখানো পথে চলো না। (বাকারা ১৬৮)

৩৩/ কক্ষণোই মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করবে না।
وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ وَإِذَا مَرُّوا بِاللَّغْوِ مَرُّوا كِرَامًا

অর্থঃ(আর রহমানের বান্দা হচ্ছে তারা) যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং কোন বাজে জিনিসের কাছ দিয়ে পথ অতিক্রম করতে থাকলে ভদ্রলোকের মত অতিক্রম করে যায় ৷ (ফুরকান ৭২)

৩৪/ পেঁচিয়ে কথা বলে না।
وَإِن تَلْوُوا أَوْ تُعْرِضُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِمَا تَعْمَلُنَ خَبِيرًا

অর্থঃআর যদি তোমরা পেঁচালো কথা বলো অথবা সত্যকে পাশ কাটিয়ে চলো, তাহলে জেনে রাখো, তোমরা যা কিছু করছো আল্লাহ তার খবর রাখেন ৷ (নিসা ১৩৫)

৩৫/ মানুষকে ন্যায়সঙ্গত ভাবে শাসন করে।

৩৬/ অভাব অনটনের কারণে সন্তান হত্যা করে না।
وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُم مِّنْ إِمْلَاقٍ ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ

অর্থঃদারিদ্রের ভয়ে নিজের সন্তানদেরকে হত্যা করো না, আমি তোমাদেরকে জীবিকা দিচ্ছি এবং তাদেরকেও দেবো। (আনআম ১৫১)

৩৭/ কক্ষণোই শপথ ভঙ্গ করবে না।
وَأَوْفُوا بِعَهْدِ اللَّهِ إِذَا عَاهَدتُّمْ وَلَا تَنقُضُوا الْأَيْمَانَ بَعْدَ تَوْكِيدِهَا وَقَدْ جَعَلْتُمُ اللَّهَ عَلَيْكُمْ كَفِيلًا ۚ إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا تَفْعَلُونَ

অর্থঃআল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ করো যখনই তোমরা তাঁর সাথে কোনো অঙ্গীকার করো এবং নিজেদের কসম দৃঢ় করার পর আবার তা ভেঙে ফেলো না যখন তোমরা আল্লাহকে নিজের ওপর সাক্ষী বানিয়ে নিয়েছো ৷ আল্লাহ তোমাদের সমস্ত কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত ৷

৩৮/মান্নত পূরণ করে ।
وفُونَ بِالنَّذْرِ وَيَخَافُونَ يَوْمًا كَانَ شَرُّهُ مُسْتَطِيرًا

অর্থঃএরা হবে সেসব লোক যারা (দুনিয়াতে ) মানত পূরণ করে, সে দিনকে ভয় করে যার বিপদ সবখানে ছড়িয়ে থাকবে ৷ (দাহর ৭)

৩৯/ আল্লাহকে প্রদত্ত ওয়াদা পালন করে।
الَّذِينَ يُوفُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَلَا يَنقُضُونَ الْمِيثَاقَ

অর্থঃ আর তাদের কর্মপদ্ধতি এমন হয় যে, তারা আল্লাহকে প্রদত্ত নিজেদের অঙ্গীকার পালন করে এবং তাকে মজবুত করে বাঁধার পর ভেঙ্গে ফেলে না ৷ (সূরা রাদ ২০)

৪০/ নিকটাত্মীয়দের সাহায্য করবে। ( বাকারা ১৭৭)

৪১/ অসুস্থ এবং পথচারীদের সাহায্য করবে। (বাকারা ১৭৭)

৪২/ নিঃস্ব এবং দরিদ্রদের সাহায্য করবে (বাকারা ১৭৭)

৪৩/ দুঃখ, দুর্দশা এবং যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণ করবে। (বাকারা ১৭৭)

৪৪/ আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক থেকে দান করে।
الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ

অর্থঃতারা নামায কায়েম করে এবং যা কিছু আমি তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে ( আমার পথে) খরচ করে ৷ (আনফাল ৩)

৪৫/রাতে কম ঘুমায়
كَانُوا قَلِيلًا مِّنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ

অর্থঃ রাতের বেলা তারা কমই ঘুমাতো ৷ (যারিয়াত ১৭)

৪৬/চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকবে।
سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ

অর্থঃতোমরা যখনই দেখবে তখন তাদেরকে চেহারায় সিজদার চিহ্ন বর্তমান যা দিয়ে তাদেরকে আলাদা চিনে নেয়া যায় ৷ (ফাতহ ২৯)

৪৭/ মানুষকে সৎ কাজের উপদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিবে।
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ

অর্থঃএখন তোমরাই দুনিয়ায় সর্বোত্তম দল ৷ তোমাদের কর্মক্ষেত্রে আনা হয়েছে মানুষের হিদায়াত ও সংস্কার সাধনের জন্য ৷ তোমরা নেকীর হুকুম দিয়ে থাকো, দুষ্কৃতি থেকে বিরত রাখো এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো ৷ (আলে ইমরান ১১০)

৪৮/ এমন বিষয়ে প্রশ্ন করে না যেটা প্রকাশ হয়ে পড়লে তারা লজ্জিত হবে।
لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ

অর্থঃহে ঈমানদারগণ ! এমন কথা জিজ্ঞেস করো না যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করে দেয়া হলে তোমাদের খারাপ লাগবে ৷ (মায়েদাহ ১০১)

৪৯/ কাজ করার পূর্বে সভাসদদের সাথে পরামর্শ করে।
وَأَمْرُهُمْ شُورَىٰ بَيْنَهُمْ

অর্থঃনিজেদের সব কাজ পরস্পর পরামর্শের ভিত্তিতে চালায়। (শুরা ৩৮)

৫০/ বাড়াবাড়ি করা হলে তার মোকাবিলা করে।
وَالَّذِينَ إِذَا أَصَابَهُمُ الْبَغْيُ هُمْ يَنتَصِرُونَ

অর্থঃ তাদের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করা হলে তার মোকাবিলা করে ৷ (শুরা ৩৯)

২৮২১ বার পঠিত

শেয়ার করুন

Picture of বুরহান উদ্দিন আজাদ

বুরহান উদ্দিন আজাদ

অনুবাদক এবং জ্ঞান ও সভ্যতা বিষয়ক গবেষক বুরহান উদ্দিন আজাদ জামালপুর জেলার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। দেশসেরা মাদরাসা থেকে আলেম পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে তুরস্কে গমন করেন এবং তুরস্কের আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, মিডল ইস্ট টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও আঙ্কারা সোস্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশুনা করেন। তুরস্কে অবস্থানকালে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে সাথে বড় বড় আলেম, স্কলার, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদের সান্নিধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, উসূল ও মাকাসিদসহ আরও অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষালাভের পাশাপাশি Institute of Islamic Thought এবং Economic and Social Researches Center এর মত প্রসিদ্ধ দুইটি প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে অবস্থান করছেন এবং European Youth Association এর ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ত্ব পালন করছেন। এছাড়াও দেশের উল্লেখযোগ্য দুইটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন।তাঁর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনূদিত গ্রন্থের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা ও ব্লগসাইটে উম্মাহর বিভিন্ন অঞ্চলের আলেম, দার্শনিক ও মুতাফাক্কিরগণের গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।তার অনূদিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো হলো; ১। ইসলাম ও জ্ঞান || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান ২। দাওয়াম || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান ৩। ইসলাম শিক্ষা || প্রফেসর ডঃ সাইফুদ্দিন ইয়াজিযি ৪। উসমানী খিলাফতের ইতিহাস || প্রফেসর ডঃ ইহসান সুরাইয়্যা সিরমা ৫। মুসলিম যুবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য || প্রফেসর ডঃ ইউসুফ আল কারদাভী ৬। Müslüman Lider Nasıl Olmalı || Prof. Gulam Azam (İlk Baskı, 2019) ৭। ইসলামী জ্ঞানে উসূলের ধারা || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ (প্রথম প্রকাশ, ২০১৯) ৮। বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম উম্মাহ এবং সভ্যতা || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ৯। ইসলামী ডেক্লারেশন || আলীয়া ইজ্জেতবেগভিচ ১০। বিশ্বব্যাপী আখলাকী সংকট || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ১১। সুন্নত ও হাদীস বুঝার মেথডোলজি || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ১২। ইসলামী সভ্যতায় নারী || ড: খাদিজা গরমেজ ১৩। ন্যায়ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা ও নতুন দুনিয়া || প্রফেসর ড: নাজমুদ্দিন এরবাকান (প্রকাশিতব্য) ১৪। জ্ঞানের পুনর্জাগরণ ও মেথডোলজি ¬¬|| প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন (প্রকাশিতব্য) ১৫। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর শিক্ষাদান পদ্ধতি || ইবরাহীম হালিল আর ১৬। আমাদের আন্দোলনের মূলভিত্তি || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান (প্রকাশিতব্য)তাঁর অনূদিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধসসমূহ হলঃ১।ইবনে খালদুন ও ইলমুল উমরান || প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন ২।শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী ও উসূল || প্রফেসর ড: মেহমেদ গরমেজ ৩।ইসলামী চিন্তার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ || প্রফেসর ড: উমর তুরকের ৪।আল্লামা ত্বহা আব্দুর রহমানের চিন্তাদর্শন || প্রফেসর ড: মেহমেদ গরমেজ ৫।আল কোরআনের ১৪০০ বছর পূর্তিতে তাফাক্কুর || আলীয়া ইজ্জেতবেগভিচ ৬। ইমাম আল-মাওয়ার্দি ও তাঁর চিন্তাধারা || প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন ৭। ইবনে খালদুন ও ইলমূল উমরান || প্রফেসর ডঃ তাহসিন গরগুন ৮। পাশ্চাত্য চিন্তার ভিত্তি || প্রফেসর ডঃ তাহসিন গরগুন
Picture of বুরহান উদ্দিন আজাদ

বুরহান উদ্দিন আজাদ

অনুবাদক এবং জ্ঞান ও সভ্যতা বিষয়ক গবেষক বুরহান উদ্দিন আজাদ জামালপুর জেলার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। দেশসেরা মাদরাসা থেকে আলেম পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে তুরস্কে গমন করেন এবং তুরস্কের আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়, মিডল ইস্ট টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও আঙ্কারা সোস্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশুনা করেন। তুরস্কে অবস্থানকালে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে সাথে বড় বড় আলেম, স্কলার, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদের সান্নিধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, উসূল ও মাকাসিদসহ আরও অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষালাভের পাশাপাশি Institute of Islamic Thought এবং Economic and Social Researches Center এর মত প্রসিদ্ধ দুইটি প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে অবস্থান করছেন এবং European Youth Association এর ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ত্ব পালন করছেন। এছাড়াও দেশের উল্লেখযোগ্য দুইটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন।তাঁর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনূদিত গ্রন্থের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা ও ব্লগসাইটে উম্মাহর বিভিন্ন অঞ্চলের আলেম, দার্শনিক ও মুতাফাক্কিরগণের গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।তার অনূদিত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থগুলো হলো; ১। ইসলাম ও জ্ঞান || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান ২। দাওয়াম || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান ৩। ইসলাম শিক্ষা || প্রফেসর ডঃ সাইফুদ্দিন ইয়াজিযি ৪। উসমানী খিলাফতের ইতিহাস || প্রফেসর ডঃ ইহসান সুরাইয়্যা সিরমা ৫। মুসলিম যুবকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য || প্রফেসর ডঃ ইউসুফ আল কারদাভী ৬। Müslüman Lider Nasıl Olmalı || Prof. Gulam Azam (İlk Baskı, 2019) ৭। ইসলামী জ্ঞানে উসূলের ধারা || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ (প্রথম প্রকাশ, ২০১৯) ৮। বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম উম্মাহ এবং সভ্যতা || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ৯। ইসলামী ডেক্লারেশন || আলীয়া ইজ্জেতবেগভিচ ১০। বিশ্বব্যাপী আখলাকী সংকট || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ১১। সুন্নত ও হাদীস বুঝার মেথডোলজি || প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ ১২। ইসলামী সভ্যতায় নারী || ড: খাদিজা গরমেজ ১৩। ন্যায়ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা ও নতুন দুনিয়া || প্রফেসর ড: নাজমুদ্দিন এরবাকান (প্রকাশিতব্য) ১৪। জ্ঞানের পুনর্জাগরণ ও মেথডোলজি ¬¬|| প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন (প্রকাশিতব্য) ১৫। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর শিক্ষাদান পদ্ধতি || ইবরাহীম হালিল আর ১৬। আমাদের আন্দোলনের মূলভিত্তি || প্রফেসর ডঃ নাজমুদ্দিন এরবাকান (প্রকাশিতব্য)তাঁর অনূদিত গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধসসমূহ হলঃ১।ইবনে খালদুন ও ইলমুল উমরান || প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন ২।শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী ও উসূল || প্রফেসর ড: মেহমেদ গরমেজ ৩।ইসলামী চিন্তার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ || প্রফেসর ড: উমর তুরকের ৪।আল্লামা ত্বহা আব্দুর রহমানের চিন্তাদর্শন || প্রফেসর ড: মেহমেদ গরমেজ ৫।আল কোরআনের ১৪০০ বছর পূর্তিতে তাফাক্কুর || আলীয়া ইজ্জেতবেগভিচ ৬। ইমাম আল-মাওয়ার্দি ও তাঁর চিন্তাধারা || প্রফেসর ড: তাহসিন গরগুন ৭। ইবনে খালদুন ও ইলমূল উমরান || প্রফেসর ডঃ তাহসিন গরগুন ৮। পাশ্চাত্য চিন্তার ভিত্তি || প্রফেসর ডঃ তাহসিন গরগুন

মতামত প্রকাশ করুন

Scroll to Top