শিশুসাহিত্যে মুসলিম সংস্কৃতির বিকাশ

বাংলাদেশের ভূ-ভাগ ও রাষ্ট্র সত্তার বিকাশ ঘটেছে এ এলাকার জনগণের শতশত বছরের বা অব্যাহত সংগ্রাম ও সাধনার মাধ্যমে। বাংলার শত বর্ষব্যাপী মুসলিম সংস্কৃতির জাগরণ ও দীর্ঘ সংগ্রামের গতিধারা থেকেই আজকের বাংলাদেশ। শুরু থেকেই এ অঞ্চলের মানুষ একটি স্বাতন্ত্র্য সংস্কৃতিকে লালন করে আসছে। অথচ আমাদের এ লালিত সংস্কৃতিকে গলাটিপে হত্যা করতে চায় এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী। তারা প্রগতির নামে অপসংস্কৃতিকে চালিয়ে দিতে চায় আমাদের সমাজে। তাদের আচার-আচরণে মনে হয় মুসলমানদের ইতিহাস-ঐতিহ্য বলতে কিছুই নেই। নেই কোনো আলাদা সংস্কৃতি। তারা কোরআনের ভাষা পর্যন্ত বদলে দিতে চায়। যেমন আল্লাহ না বলে সৃষ্টিকর্তা, ‘বিসমিল্লাহ’-এর অনুবাদ প্রভুর নামে শুরু করলাম। এ সব আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুসলমানদের ধর্ম, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি থেকে অপসংস্কৃতির দিকে টেনে নেয়ার এক বিরাট ষড়যন্ত্র। কোনো মুসলমান নিজের সংস্কৃতি কি তা বুঝার পর বি-জাতীয় সংস্কৃতির দিকে নজর দিতে পারে না। মানুষের বিশ্বাস, ধ্যান ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি, মন-মানসকিতা এবং জীবন লক্ষ্যের চেতনার সমন্বয়ে গড়ে ওঠে জীবন বোধ এবং তারই প্রকাশ সংস্কৃতি। কেবল মাত্র সাহিত্য বা শিল্পকলার মধ্যেই সংস্কৃতি সীমাবদ্ধ নয়। সংস্কৃতি গোটা জীবন পরিব্যাপ্ত। প্রকৃত প্রস্তাবে আদর্শিক চেতনাই সংস্কৃতি। কারণ সংস্কার, সংশোধন, বিশ্বাস, পরিশীলন, পরিমার্জন, ভদ্রতা, শিষ্টতা, রুচিশীলতা, সভ্যতা, মানসিক বিকাশ, জীবনধারা, রীতিনীতি, শিক্ষা, উন্নতি, উৎকর্ষতা, এ সবই আদর্শিক চেতনা এবং আদর্শিক জীবনবোধ থেকে সৃষ্টি হয়। এগুলো সবই সংস্কার। আদর্শিক চেতনা থেকেই সংস্কৃতির প্রেরণা আসে। সংস্কারের প্রেরণা যদি হয় কুসংস্কার, তবে সে সংস্কারটা সংস্কৃতি নয় বাংলাদেশের জনসাধারণ ভাষার পরিচয়ে বাঙালী, ভৌগলিক পরিচয়ে বাংলাদেশী। সংস্কৃতি ভৌগলিক সীমানায় সব সময়ই আবদ্ধ থাকে না । ভাষাকে কেন্দ্র করেও এ সংস্কৃতি গড়ে উঠতে পারে। তবে বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির বৈপরিত্যের কারণে একই ভাষাভাষী লোকদের মধ্যে থেকে সংস্কৃতির বিভেদ বিভাজন হতে পারে। বাঙালী হিন্দু ও মুসলমান একই ভাষায় কথা বললেও তাদের সংস্কৃতি এক নয়। যেমন মুসলমানদের ঈদের উৎসব উদযাপন রীতিনীতি নিয়ম-পদ্ধতি হিন্দুদের পূজার উৎসব থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন মুসলমান মুসলমানে দেখা হলে আস্সালামু আলাইকুম এবং ওয়া আলাইকুমুসসালাম কথা উচ্চারিত হয়। হিন্দুদের সাক্ষাতে উচ্চারিত হয় নমস্কার, আদাব। দৈনন্দিন জীবনে মুসলমানদের খাদ্য তালিকায় গরুর গোশত স্থান পেলেও হিন্দুদের তালিকায় এর স্থান পাওয়া আদৌ সম্ভব নয়। ধর্মীয় জীবনে মুসলমানরা নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, দোয়া-দরুদ তাসবীহ করে থাকে। হিন্দুরা পূজা ও অর্চনা ইত্যাদি করে থাকে। পাশাপাশি বাস করেও একই পদার্থকে হিন্দুরা অল বলে, মুসলমানরা পানি বলে। এ বিষয়গুলো আলোচনা করতে গেলে অনেক সময়ের প্রয়োজন। আমার আলোচনার মূল বিষয় হলো, “শিশুসাহিত্যে মুসলিম সংস্কৃতির বিকাশ”। বাংলা শিশুভোগ্য সাহিত্যে মুসলিম লেখকদের কণ্ঠ প্রথম শোনা যায় ষোড়শ শতকে। ধর্মাশ্রয়ী সাহিত্যের কোলাহলের মধ্যে মানুষকেন্দ্রিক রচনার আবির্ভাবের সূচনায়। বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের শুরু ত্রয়োদশ শতকের গোড়ার দিকে। যখন এখানকার বৌদ্ধ সমাজের কাছে পরাভূত এবং হিন্দু সমাজ বেদপুরানের অভয়াশ্রমে থাকা সত্ত্বেও নানা লৌকিক মতের চোরা আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত। ক্রমে হিন্দু ধর্ম অবক্ষয় রোধের উচ্চাশায় নিত্য-নতুন দেবদেবীর অনুগত ঠিক তখনই মুসলমানরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশে নতুন করে যাত্রা পথের সূচনা করল। যদিও এ উপমহাদেশে বাঙালী মুসলমানদের সংস্কৃতি অনেক পুরনো। তা অনুসন্ধানে বিলম্ব হওয়ায় মুসলমানরা নিজ গৃহে ঘরজামাইয়ের মতোই বসবাস করে। ফলে বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো শিশুসাহিত্যেও মুসলমানদের সাধনা হয় বিলম্বিত। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিতগণ সর্বপ্রথম মিশনারী ও দেশীয় ছাত্রদের জন্যে পাঠ্যপুস্তক রচনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমেই মূলত শিশুসাহিত্যের যাত্রা শুরু হয়। তখন মুসলমান লেখকরা নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার জন্য শিশুসাহিত্যকে ভালোভাবে আকড়িয়ে ধরলেন। বাংলায় শিশুসাহিত্যের সাধনায় শিশুদের মনমেজাজ যাচাই, মনোবিশ্লেষণ, শিশুচিত্তের বিচিত্র প্রয়াস নিরুপণ, নীতি ধর্মের প্রতি লক্ষ্য, জীবন গঠনোপযোগী উপকরণ সংগ্রহ এবং শিশু আনন্দের খোরাক বিতরণ প্রয়াসী হয়ে এসব পাঠ্যপুস্তক শিশুসাহিত্যের প্রথম যুগে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

একদিকে পাঠ্যপুস্তক রচনা অন্যদিকে বিবিধ শিশু-কিশোর পাঠ্য পত্রিকায় ছোটদের জন্য রচনা প্রকাশ আদিযুগের শিশুসাহিত্যের ধারা উন্নয়নে সহায়তা করে।

প্রথম দিকে এককভাবে শিশুসাহিত্য রচিত হয়নি। এতে ছোটবড় সবার জন্য একই সাহিত্য রচিত হতো । যেমন সায়ফুল মুলক-বদিউজ্জামানের মতো কিছু উপাখ্যান ছিলো তখন মুসলিম সাহিত্য। এসব কাহিনীর দু’একটি আজো পুঁথির আকারে গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে আছে। পুঁথিপাঠকালে শিশু শ্রোতার উপস্থিতি দেশের গ্রামে-গঞ্জে দুর্লভ দৃশ্য নয়।

নবী-কাহিনী আর জঙ্গনামার কাল থেকেই আমদানি হতে থাকে আরো কিছু শিশুলোভন বিষয়। জাতিতে আরবীয় বা ইরানীয়, এই বিষয়গুলির কোনো-টি এসেছে অনুবাদের মাধ্যমে, কোনো-টি বা মৌলিক রচনার রূপ নিয়ে। চরিত্রে এগুলো অনেক ক্ষেত্রেই রূপকথাধর্মী। সুতরাং শিশু-ভোগ্যতায় নিঃসন্দেহে নবীকাহিনী আর জঙ্গনামার তুলনায় কল্পনার আকর্ষণে অধিকতর বলবান। হাতেম তাইয়ের কিস্সা এবং লায়লী-মজনু, শিরী-ফরহাদ আর ইউসুফ জোলেয়খার প্রেমকথা এই শ্রেণীরই আমদানি। এমনকি, গুলে বকাউলি জাতীয় রূপকথাও। এর সাথে এসেছে- আরব্য, পারস্য আর তুর্কী উপন্যাস এবং সা’দীর ‘বুস্তা’ আর গুলিস্তার গল্প। এসব গল্প শিশুদের খুবই উপভোগ্য।

পাকিস্তান যুগে মুসলিম শিশু-সাহিত্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা, মেঘ, বৃষ্টি, ঝড়ের প্রকোপ অনেকটা স্তিমিত, আবহাওয়া শাস্ত, উজ্জ্বল। বাংলার মুসলিম লেখকরা বাংলা ভাষায় শিশুসাহিত্য সৃষ্টির নতুন সমৃদ্ধ এক রৌদ্রলোকিত প্রসন্ন সাহিত্যাকাশের পানে ফেরালেন। তাদের হাত পেকেছিল যে পাঠ্যবই রচনায় তা-ই সাবলীল, সুন্দর, মধুর শিশুসাহিত্যের সৃষ্টি করল।

কুরআন, হাদিস, ইসলামের চার খলিফা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সমাজব্যবস্থা, মুসলিম বিশ্বের বিবিধ গৌরবজনক প্রতিষ্ঠান, মুসলিম বীর-পীর-গাজী-শহীদ-মহাপুরুষ ইত্যাদি বিষয়গুলোর প্রতি শিশুসাহিত্যের প্রবন্ধ শাখার লেখকগণ লেখনী চালনা করলেন।

গল্প সাহিত্যে ইরান-তুরানের গল্প, আরব্য উপন্যাস, পারস্য উপন্যাস, শাহনামা, কুরআন, হাদিস মসনভী, গুলিস্তা, বুস্তা, নবী, আউলিয়া, পীর-দরবেশের জীবনের বিচিত্র উল্লেখযোগ্য অংশ যা শিশুচিত্তে দাগ কাটে, তাদের চরিত্র গঠের সহায়তা করতে পারে, এমন বিষয়বস্তু আনা হলো ।উপন্যাস-নাটকের বেলায়ও আদর্শ জীবনভিত্তিক কাহিনী রচনা শুরু হলো। ঐতিহাসিক বিষয়াদি নির্বাচিত হলো, মুসলিম বিশ্বের হাস্যরসাত্মক গল্প কৌতুক কথার সঙ্গে পরিবেশিত হলো গ্রাম বাংলার লোক-কাহিনী রসকথা। দেশ-বিদেশের রূপকথাগুলো বাংলায় অনূদিত হলো- মুসলিম উপকথা নতুন করে পরিবেশিত হলো। মুসলমান শিশুসাহিত্যিকগণ মুসলিম সংস্কৃতি বিকাশে আরো এগিয়ে গিয়ে ধর্ম ও ইতিহাস ঐতিহ্যের পরিবেশনায় মূল লক্ষ্য জ্ঞান ঠিক রেখে ছড়া-কবিতার জগতে প্রকৃতি, মানুষ, ঋতুপরিক্রমা, মুসলিম অনুষ্ঠান পর্ব ইত্যাদি যোগ করলেন। মহাপুরুষ জীবনী, মুসলিম জাগরণ, ইতিহাস-ঐতিহ্যের নানা ভাবের দ্যোতনা করলেন। তারা গল্প-উপন্যাস, ছড়া কবিতা, প্রবন্ধের বিচিত্র শাখায় নিজেদের কথা নিজেদের মত করে বলার প্রয়াস পান। ফলে বাংলা শিশুসাহিত্যের ইতিহাসের স্রোতধারায় আর একটি নতুন ফল্গুধারার সৃষ্টি হলো। মুসলমান খোকা-খুকুর বদল সে ধারায় স্নাত হয়ে আদর্শ নাগরিকরূপে দেশবরেণ্য সন্তানের গৌরব অর্জনে সক্ষম ।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজকের বাংলাদেশ পর্যন্ত অজস্র শিশু পত্রিকার প্রকাশ ঘটেছে। আর এ সমস্ত পত্রিকাকে কেন্দ্র করে বাঙালি মুসলমানদের সংস্কৃতি বিকাশে শিশুসাহিত্য যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। যেসব লেখক এতদিন কেবল বড়দের জন্য লিখেছেন, তারা পত্রিকার পাতায় শিশুদের জন্যে শিশুসাহিত্যের সম্ভার নিয়ে এগিয়ে এলেন। বস্তুত শিশু পত্রিকাগুলোই এই মহৎ ধর্মকে ত্বরান্বিত করে। সাথে সাথে প্রকাশিত হয়ে আসছে শিশুসাহিত্যের নতুন নতুন সংকলন। রাজধানী ঢাকার বাইরে মফস্বল শহর থেকেও এসব সংকলন প্রকাশিত হয়ে আসছে।

এক সময় হিন্দু সম্পাদিত পত্র-পত্রিকায় মুসলমান লেখকদের রচনা প্রকাশ ছিল খুবই সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত; ইচ্ছা করলেই নিজেদের সংস্কৃতি বিকাশে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখে কোনো লেখা প্রকাশের সুযোগ ছিল না। ফলে মুসলমানগণ নিজেদের মনমতো পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনার প্রয়োজন প্রকটভাবে অনুভব করেন। আর এরই ফলশ্রুতিতে মুসলিম সম্পাদিত সুন্দর মনোলোভা যুগোপযোগী শিশু-পত্রিকা প্রকাশ পায়। যার মাধ্যমে বাংলা শিশুসাহিত্যের জগতে মুসলমানদের নতুন পথ নির্দেশ করে। ইতোপূর্বে শিশু-কিশোরদের জন্য যা রচিত হয়েছে তার সাথে বিজ্ঞানের কোনো যোগসূত্র ও আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি বিকাশের উপকরণ খুবই কম ছিল। বিশেষ করে তথাকথিত প্রগতিবাদী লেখকদের হাতে যা রচিত হয়েছে তার অধিকাংশই আমাদের সংস্কৃতি বর্জিত। যার অধিকাংশই অবাস্তব আষাঢ়ে গল্পে ভরা। মিথ্যার পাঁচালী দিয়ে সত্যকে ঢাকার অপপ্রয়াস মাত্র। এ জন্য যেমন দায়ী আমাদের রাষ্ট্রায় ব্যবস্থা তেমনি দায়ী তথাকথিত প্রগতিবাদী লেখকরা। তারা তাদের সামাজিক দায়িত্বটুকু ও মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে এসব অপকর্মের সাথে নিজেদের একাত্বতা ঘোষণা করে ব্যক্তি সুবিধা লুটেছে মাত্র। তারা যেসব সাহিত্য রচনা করেছে সেখানে আমাদের দেশ, দেশের মানুষ ও তাদের সংস্কৃতি-বিশেষ করে পল্লী অঞ্চলের শিশু-কিশোরদের উপেক্ষা করা হয়েছে। তাদেরকে নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চা থেকেও দূরে রেখেছে।

গল্প, উপন্যাস, ছড়া-কবিতার ক্ষেত্রে কথাটি যেমন সত্য, নাটকের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি তেমন সত্য । ফলে আজকের লেখকদের ভুল ভেঙেছে। তারা নিজেদের সংস্কৃতির ধারা বুঝতে পেরে মুসলিম সংস্কৃতি বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন শিশুসাহিত্যে।

শিশুসাহিত্যের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি উজ্জ্বল ব্যতিক্রমধর্মী সৃষ্টি প্রসূন প্রস্ফূটিত হয়েছে। তার সৌরভে আমাদের শিশুদের মনোজগত ও কোমলচিত্ত মৌ মৌ গন্ধে সুরভিত, আন্দোলিত। এ ক্ষেত্রে আমাদের যা অবদান তা দরিদ্র নয়। নয় অক্ষম বোবার আস্ফালন । বর্তমানে যে সব শিশুসাহিত্য রচিত হচ্ছে তাতে নিত্য নতুন শিশু-মনোরঞ্জনী সাহিত্য সৃষ্টির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে । তাতে অজস্র কালজয়ী শিশু-উপভোগ্য ঐশ্বর্যের শিক্ষা উদ্দীপ্ত হচ্ছে। যা আমাদের কাছে পরম গৌরব ও আনন্দের সম্পদ।

১০৮৬ বার পঠিত

শেয়ার করুন

Picture of রোয়াক ডেস্ক

রোয়াক ডেস্ক

রোয়াক, ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অনলাইন মুখপাত্র। বুদ্ধিবৃত্তিক ও সময়ের চিন্তাগত সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কাজ করে যাবে।
Picture of রোয়াক ডেস্ক

রোয়াক ডেস্ক

রোয়াক, ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অনলাইন মুখপাত্র। বুদ্ধিবৃত্তিক ও সময়ের চিন্তাগত সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কাজ করে যাবে।

মতামত প্রকাশ করুন

Scroll to Top