একজন কিংবদন্তি, যিনি যশ-খ্যাতির চাইতে আল্লাহর স্মরণেই বেশি সময় কাটাতে চান। একজন সংগীত শিল্পী, যিনি শান্তি ও সহনশীলতা প্রচারের জন্য তার সংগীত ব্যবহার করেন। একজন মুসলমান, যিনি তার খ্যাতি ও অর্জন বিশ্বের অভাবী লোকদের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বিলিয়ে দেন। একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি দৃঢ়ভাবে আস্থা রাখেন ইসলামী সভ্যতার সমৃদ্ধশালী আধ্যাত্মিক ধারা ও কার্যক্রমের উপর যা মানুষের হৃদয়কে ইলাহী নূরে আলোকিত করে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তিনি পথ পাড়ি দিতে চান এবং এ পথে তিনি মিউজিককে নিজের সফরের উপকরণ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
বিশ্বের নামকরা পত্রিকাগুলো তাকে বিভিন্ন শিরোনামে ভূষিত করেছে। যেমন– টাইম ম্যাগাজিন তাকে বলেছে ‘Islam’s biggest rock star’, দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার মতে তিনি ‘Biggest Star in the Middle East’, আল জাজিরা তাকে উপমা দিয়েছে ‘King of Islamic Pop’!
তিনি সামি ইউসুফ। একটি নাম, একটি ব্র্যান্ড। এ নাম শুনলেই আমাদের মনে উঁকি দেয় ইরফানী ধারার মাহাত্ম্য ও ঐশ্বর্য্যের সাংস্কৃতিক রূপ দানকারী এবং বর্তমান সময়ের সর্বাধুনিক উপায়ে ইসলামের মর্মশাসকে উপস্থাপনকারী এক ব্যক্তিত্বের মুখচ্ছবি। তিনি মিউজিকের মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা, মারেফত, আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা, রহমতের বার্তা চিত্রায়ণ করে যাচ্ছেন। ২০০৩ সালে প্রথম এলবাম প্রকাশের মাধ্যমে তার গানের যাত্রা শুরু হয়। এ এলবামের নাম ছিলো “আল মুয়াল্লিম”। হয়তো তিনি রাসূলের ‘আনা বুইসতু মুয়াল্লিমান’ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই এ নাম পছন্দ করেছিলেন! তার জীবনের প্রথম দিকের সময় থেকেই ইসলামকে তিনি কতখানি ধারণ করেন তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
তার বাবা ছিলেন একজন সংগীতজ্ঞ, কবি, গীতিকার, কণ্ঠশিল্পী এবং বহু বাদ্যযন্ত্র বাদক, কিন্তু তার সন্তানরা সংগীত চর্চায় আসুক এটি তিনি চাননি। অন্যদিকে সামি ইউসুফের ৬৪ জন চাচাতো-মামাতো ভাইবোনের মধ্যে ৫০ জন গায়ক আর অন্যরা শিল্পী! বাবা সম্পর্কে সামি ইউসুফ বলেন, “আমার বাবা খুবই রক্ষণশীল মানুষ এবং তিনি পরিবেশ বুঝেন।”
৬ বছর বয়সে সামি ইউসুফ তার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন তিনি অন্য ছেলেদের সংগীত শেখান, কিন্তু তাকে শেখান না। তার অনুযোগ শোনার পর একদিন তার বাবা তাকে পারস্যের মিউজিকের উপর একটি বই পড়তে দেন। আধা ঘন্টা পরে এসে দেখেন সামি ইউসুফ সে বই পড়ে ফেলেছে। তখন তিনি তাকে সেটির প্রমাণ দেওয়ার জন্য বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে দেখাতে বলেন। সামি ইউসুফ তখন বাজিয়ে দেখান। এটিই ছিলো তার সংগীত চর্চার শুরু। তারপর তিনি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার শিখেন। যেমন– দফ, তার, সানতোর, উড, ভায়োলিন, পিয়ানো ইত্যাদি।
তখন থেকেই তিনি বাবার সহায়তায় সংগীতের সাথে জড়িয়ে যান। তিনি বড় বড় শিক্ষকদের কাছে সংগীত নিয়ে পড়াশোনা করেন, পরবর্তীতে লন্ডনে Royal Academy of Music-এও পড়াশোনা করেন। অতঃপর তিনি মিউজিক কম্পোজার হওয়ার কথা ভাবেন।
অল্প বয়সেই তার গায়কী প্রতিভা উন্মোচিত হয়। ১৬ বছর বয়সে তিনি প্রবল আধ্যাত্মিক অনুভূতির দরুণ সংগীত জগত ছেড়ে আইন শাস্ত্র পড়ার দিকে আগ্রহী হয়ে উঠলেন। কিন্তু তার বন্ধু তাকে এলবাম করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন, যে এলবামে থাকবে আল্লাহ ও রাসূলের জন্য ত্যাগ তিতীক্ষার গল্প।
বন্ধুর কথা মতো তিনি কাজ শুরু করেন। ২০০৩ সালে ২৩ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম এলবাম ‘আল-মুয়াল্লিম’ এর গানগুলো রেকর্ড করেন। এলবামটির ৭০ লাখেরও বেশি কপি বিক্রি হয়, যা তাকে রাতারাতি স্টার বানিয়ে দেয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি ছিলো ভাগ্য এবং লিখিত।” অতঃপর তিনি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যান। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, যে ধাঁচের সংগীত তিনি নির্মাণ করছেন, তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, বিশেষত নাইন ইলেভেন পরবর্তী সময়ে এটি অতি জরুরী।
মুসলমানরা বিশেষ করে মুসলমান যুবকরা নিজেদের পরিচয় নিয়ে গর্ব বোধ করার উপায় খুঁজছিল বহুদিন ধরেই, তার সংগীত এ প্রয়োজনীয়তা মেটায়। বলা যায়, তার সংগীত কিছুটা হলেও তাদের সেই দীর্ঘদিনের সংকট সমাধানের রূপরেখা হয়েছে, কারণ তার সংগীতের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করলে এমন কিছুই পাওয়া যায়।
সামি ইউসুফের জন্মস্থান ইরানে (তার পরিবার আজারবাইজানী) ছিলো বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের বসবাস। সে সূত্রে তিনি বিভিন্ন ভাষায় গান গাওয়া এবং গানে ইরান ও পাশ্চাত্যের মিউজিকের ব্যবহার শুরু করেন। তার গানে প্রকাশ পায় ইসলামী ঐতিহ্যের ভাবধারা, সংহতি, সহানুভূতি, উদারতা, সততা, যা তার শ্রোতাদের মানসিকতা ও রুচিবোধকে উন্নত করে তোলে।
তিনি বলেন, “সংগীত হলো আমার অস্তিত্বের এক বিস্তৃত রূপ। সংগীত হলো আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা এবং মহান ঐতিহ্যের প্রতি গভীর অনুরাগেরই এক বহিঃপ্রকাশ।”
অনেকে সামি ইউসুফের সংগীতকে নাশীদের তালিকায় রাখেন, যা তিনি মানতে নারাজ। আবার অনেকে তার গানকে ইসলামী পপ ঘরানার বলে আখ্যায়িত করেন, এতেও তিনি স্বস্তিবোধ করেননি। তিনি তার গানের ধরণকে বলেন ‘স্পিরিটিক’।
এ ব্যাপারটি সামি ইউসুফের বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা-চেতনার একটি বড় প্রমাণ। তিনি তার গানে জ্ঞান ও সত্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন, যা বুল্লেল শাহ, মাওলানা রুমী, এরিস্টটল এবং অন্যান্য গ্রিক দার্শনিকের কাজে পাওয়া যায়। তার মতে সংগীত হলো মানুষকে কাছে আনার, একত্রিত করার, জমিয়ে রাখার অন্যতম মাধ্যম।
তিনি বলেন, “আমি নেহায়েত সংগীতের জন্যই সংগীত চর্চা করি না। আমার সংগীত চর্চার মধ্যে আছে উচ্চতর একটি উদ্দেশ্য। সংগীতের মধ্য দিয়ে যখন আমরা কাছাকাছি আসি, তখন আমরা নিজেদেরকে আরো ভালোভাবে জানতে পারি। আর যখন আমরা নিজেদেরকে ভালোভাবে জানতে পারি, তখন আমরা আধ্যাত্মিক অনুভূতিমালার দিকে ধাবিত হতে থাকি।” তার ভাষ্যে, “যিনি নিজেকে চিনেন, তিনি আল্লাহকেও চিনেন।”
তার অভিব্যক্তিতেও রয়েছে তার চিন্তার বহিঃপ্রকাশ। নান্দনিক এক অবয়ব নিয়ে তিনি স্টেজে উঠেন। মুখে মুচকি হাসির পরশ লেগেই থাকে। পোশাকেও যথেষ্ট মুনশিয়ানা চোখে পড়ে।
তিনি তার গানে হাজারো ঐতিহ্যকে ধারণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার অনেক গানেই একাধিক ভাষার ব্যবহার ক্রমাগত চোখে পড়ে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আরবি, ফারসি, আজেরী (আজারবাইজানী), তুর্কি, উর্দু, মালয়।
এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “আমি অনেককে চিনি, যারা জনপ্রিয়তার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু আমি ছোটবেলা থেকেই এটি থেকে দূরে থাকতে চেয়েছি। আমি এমন একটি জীবন অতিবাহিত করতে চাই, যা আল্লাহর কাছাকাছি। আধ্যাত্মিক একটি জীবন আমার চাওয়া।”
তার গানের কথাগুলো পড়লেই আমরা তার এ মনোভাবের প্রমাণ পাই। এর অন্যতম উদাহরণ তার Forgotten Promises গানটি৷ ২০১২ সালে রিলিজ হওয়া এ গানের কথায় বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের এক আবহ ফুটে উঠেছে। তারচেয়ে বড় কথা হলো এ গানের মিউজিকও এমনভাবে তৈরি করা, যা শুনলে যে কেউ মিউজিকের তালে তালে আন্দোলিত হতে বাধ্য। গানটি মুসলিম আত্মপরিচয়কে নবতর পন্থায় হাজির করার এক অন্যতম উপাদান হতে পারে।
তার গানের এলবামগুলোর নাম যদি দেখি, প্রতিটি নামেই মুসলিম উম্মাহর আহবান মিশে আছে। যেমন–
- Al-Mu’allim (2003)
- My Ummah (2005)
- Without You (2009)
- Wherever You Are (2010)
- Salam (2012)
- The Centre (2014)
- Songs of the way (2015)
- Barakah (2016)
এগুলোর মাধ্যমে কখনো তিনি আল্লাহর কাছাকাছি যেতে চেয়েছেন, কখনো সে পথে সবাইকে আহ্বান করেছেন, কখনো সবাইকে অভিবাদন করে গেছেন, কখনো রাসূলের শিক্ষা তুলে ধরেছেন।
২০১৫ সাল থেকে তিনি লাইভ এলবাম শুরু করেন এবং ২০১৮ সালের পরে তিনি স্টুডিও এলবাম থেকে লাইভ এলবামে চলে আসেন। এখনো তিনি লাইভ এলবামেই গান রচনা করে যাচ্ছেন।
গত বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে দুবাই এক্সপোতে তিনি ১ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে একটি নতুন এলবামের গান রিলিজ করেন, যে গানগুলো আমাদেরকে বিভিন্ন ধারার সুরের কাছে নিয়ে যায়, বিভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। এ গানগুলো শুনে অন্য ধর্মাবলম্বীরাও ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়, যার প্রমাণ প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়।
২০১৭ সালে রিলিজ হওয়া The Dawn গানটি অসংখ্য সংস্কৃতির সুরকে একত্রিত করে আমাদেরকে নতুন এক মোহনীয়তার দিকে নিয়ে যায়। এ গানে তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিউজিককে একত্রিত করেন, যে মিউজিক শ্রোতাদের পাখির মতো উড়িয়ে নিয়ে যায় পারস্য, উসমানী, মিশরী, সিরিয়, চায়না, গ্রীক, আন্দালুসিয় মুসলিম ঐতিহ্যের কাছে। এ একটি গানই মুসলমানদের দেশের সীমানার কাঁটাতার ছাড়িয়ে এক উম্মাহ হয়ে বসবাস করতে বলে, কাজ করতে বলে, সব ধরনের মানুষকে নিয়ে একটি বহুত্ববাদী সমাজে বসবাস করার দিকে ধাবিত করে।
তার মধ্যে জালালুদ্দিন রুমীর প্রভাব কতটা ছিলো তা তার ২০১৯ সালে প্রকাশিত A Dancing Heart শুনলে বুঝা যায়। জালালুদ্দিন রুমীর প্রভাব পৃথিবীর কোথায় নেই? ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ‘আমাদের রুমী’। কথা ছাড়া, শুধু সুরের মুর্ছনায় সামি ইউসুফ তাঁকে ধারণ করেছেন এ গানে। হয়তো তিনি রুমীর এ কথায় প্রভাবিত হয়েছিলেন, ‘Silence is language of God, all others are poor translation’! তাই কোনো কথা ছাড়াই শুধু সুরের মূর্ছনা দিয়ে বিশ্বসভায় এক হয়ে যেতে চেয়েছেন তিনি।
এ রকম অসংখ্য গানেই সামি ইউসুফকে আবিষ্কার করা যাবে মুসলিম ঐতিহ্যের কোনো না কোনো পাতায়, স্বর্ণলতিকায়, আবহমান কাল ধরে চলে আসা ইসলামী ঐতিহ্যের আধুনিক রূপ প্রকাশের ধারাবাহিকতায়।
প্রতিটি গানেই দেখা যাবে, তিনি আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন, কখনো আন্দালুসিয়ার রাস্তায় হাঁটছেন, কখনো ইরাক-ইরানের অলিগলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কখনো দক্ষিন এশিয়ার কাওয়ালী দরবারে এসে হাজির হয়েছেন, কখনো প্রাকৃতিক সুরে ভেসে বেড়াচ্ছেন ইকুয়েডরের আকাশে, কখনো আছেন চীনের হাজার বছরের মুসলিম অস্তিত্ব আবিষ্কারের যুদ্ধে!
২০১৮ সালে সামি ইউসুফ My Song নামে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন, যাতে তিনি তার গানের ব্যাখ্যা দেন। এটি শুনলেই বোঝা যায়, সামি ইউসুফ আমাদের মতো সাধারণ সাংস্কৃতিক কর্মী নন, বরং তিনি বিশ্ব মুসলিম ঐতিহ্যের মহান এক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তার কাজের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো তিনি তার অসাধারণ দক্ষতায় ইসলামের অতীত ঐতিহ্য আর বর্তমান আধুনিকতার মধ্যে একটি অন্বয় সৃষ্টি করেছেন। সেই সাথে রয়েছে পূর্বীয় ও পশ্চিমী মিউজিকের অসাধারণ মিথস্ক্রিয়া। সামি ইউসুফের এ অসাধারণ কর্মকে সমালোচকরা তার সৃষ্টির অনন্যতা হিসেবেই স্বীকৃতি দেন। অরিয়েন্ট আর অক্সিডেন্টের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আর দুর্দান্ত প্রবহমানতায় তার কাজগুলো নিঃসন্দেহে বিশেষায়িত। সীমান্তের ব্যবধান থাকলেও সামি ইউসুফের এ অসাধারণ সৃষ্টি যে ইসলামী সভ্যতার সকল অঞ্চলের মাঝে এক ধরনের আধ্যাত্মিক আন্তঃসম্পর্ক সৃষ্টি করেছে, তা বলাই বাহুল্য।
ইসলামের সুমহান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে উপজীব্য করে আধ্যাত্মিকতা ও ইনসানিয়াতের উপর ভিত্তি করে সামি ইউসুফের সফর নিঃসন্দেহে এ বস্তুবাদী সভ্যতার বিপরীতে এক অনন্য সৃষ্টি। সামি ইউসুফ যতটা তার মাটিকে ধারণ করেন, ঠিক ততটাই ধারণ করেন ইসলামের বৈশ্বিক চরিত্রকে। এর ফলশ্রুতিতে তার সৃষ্টিকর্মের রূপ আঞ্চলিক হলেও আবেদন বিশ্বজনীন।
স্বপ্ন দেখি, বাংলাদেশের মাটিতেও বাংলা অঞ্চলের রূহকে ধারণ করে এ অঞ্চলের সামি ইউসুফরা উঠে আসবেন, যারা হয়ে উঠবেন এ অঞ্চলের হৃদয়ের স্পন্দন ও মাটির আওয়াজ, ইনশাআল্লাহ!