“বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম উম্মাহ এবং সভ্যতা”

ইসলামী সভ্যতার পতন(সাময়িক) পরবর্তী দুনিয়াকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমাদের মৌলিক কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন যথাঃ
• বিশ্বযুদ্ধসমূহ ও সাম্রাজ্যগুলোর পতন।
• আধুনিকতা(কথিত) ও পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা।
• উত্তরাধুনিক বিশ্ব ।

এর প্রত্যেকটি ফ্যাক্টরই বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার নতুন চেহারাকে রূপায়িত করেছে। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাশ্চাত্য প্রেক্ষিতে নতুনভাবে দার্শনিক রূপান্তর ঘটতে থাকে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র ইত্যাদি ধারণা হাজির হয়। জাতীয়তাবাদ ও জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। এরই প্রেক্ষিতে উদ্ভাবিত আরেকটি ধারণা হচ্ছে ‘বিশ্বায়ন’ যাকে আখ্যায়িত করা হচ্ছে জাতি রাষ্ট্রীয় সীমানা উৎখাতকারী হিসেবে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো বিশ্বায়নের সীমানা এতটুকুতেই আবদ্ধ কিনা?

বিশ্বায়নের পক্ষপাতী তাত্ত্বিকেরা সাধারণত বিশ্বায়নকে স্রেফ অর্থনৈতিক হিসেবে উপস্থাপন করেন। তারা রাজনীতি, ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজ কিংবা পরিবেশের সাথে বিশ্বায়নের ধারণাকে ব্যাখ্যা করতে নারাজ। এ বিশ্লেষণ যৌক্তিক নয়, কিংবা পূর্ণাঙ্গ নয়। কারণ পরিবর্তিত বিশ্বব্যবস্থার প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক একইসাথে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক। মুহাম্মদ আসাদ বলেন-“পাশ্চাত্যের সাথে বিদ্যমান অর্থনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে আমরা শুধু পাশ্চাত্যের পণ্যই আমদানি করছি না, বরং একইসাথে পশ্চিমা সংস্কৃতিও আমদানি করছি”।

বিশ্বায়নকে দেখতে হবে, আধুনিক পুঁজিবাদের বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে, নইলে বিশ্বায়নের প্রকৃত চেহারাটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে না। ৭০ এর দশকের শুরুতে ব্রেটনউড সিস্টেম ভেঙে পড়ার পরই মূলত বিশ্বায়নের একটি ইতিবাচক ধারণা হাজির হয় সবার সামনে।
নিও লিবারেল দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে যেমনভাবে বিশ্বায়নকে প্রাকৃতিক একটি প্রক্রিয়া হিসেবে হাজির করা হয়, বিশ্বায়ন মোটেও তা নয়। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অবস্থা, ক্ষমতাধর রাষ্ট্রসমূহ, কর্পোরেট ব্যবস্থাই বিশ্বায়নের গতিপথ নির্ধারণ করে। পশ্চিমা তাত্ত্বিকেরাই আজ প্রশ্ন তুলছেন, বিশ্বায়ন ঠিক কতোটা বৈশ্বিক? নাকি বিশ্বজনীনতার মোড়কে এ ভিন্ন কিছু?

মূলত বিশ্বায়ন হলো একটি পশ্চিমা প্রক্রিয়া যা কিনা বৈশ্বিকতার মোড়কে দিনশেষে সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করে চলেছে। পাশ্চাত্য আধিপত্যকে বহুমাত্রিকভাবে বিভিন্ন অঞ্চলের উপর প্রয়োগই হলো বিশ্বায়ন যার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পর্যায় হলো-
• অর্থনৈতিক শোষণ
• রাজনৈতিক আধিপত্য
• সাংস্কৃতিক আগ্রাসন

প্রকৃতপক্ষে বিশ্বায়ন নিতান্তই একটি পশ্চিমা ধারণা যা কিনা মুসলিম উম্মাহর সাথে কোনভাবেই সামঞ্জপূর্ণ ছিলোনা। প্রযুক্তির এ সময়ে বিশ্বায়ন আরো বেশি প্রভাবশালী একটি ধারণা যা কিনা বিভিন্ন সংস্কৃতি, চিন্তা (বিশেষত ইসলাম) কে একমুখী তথা পাশ্চাত্যকেন্দ্রিক হতে বাধ্য করছে। প্রকৃতিগতভাবে বিশ্বায়ন কোন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয়, বরং তা পাশ্চাত্য আগ্রাসনকে আরো ফলপ্রসূ করার প্রয়াসমাত্র। বিশ্বায়নের প্রেক্ষিতে মুসলিম উম্মাহ ও মুসলিমদের কাজের ক্ষেত্র ও করণীয় নির্দেশ করেছেন উস্তাদ প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ, তাঁর “বিশ্বায়নের যুগে ইসলাম, উম্মাহ এবং সভ্যতা গ্রন্থে”

উস্তাদ মেহমেদ গরমেজের প্রবন্ধগুলি উনার দীর্ঘ চল্লিশ বছরের গবেষণা এবং উম্মাহর বিভিন্ন অঞ্চলে সফর ও পর্যবেক্ষণের ফসল। উম্মাহর অধিকাংশ অঞ্চল তিনি ভ্রমণ করেছেন, সে অঞ্চলের আলেমদের সাথে আলাপ আলোচনা করেছেন এবং নিজস্ব পর্যবেক্ষণের পরই সমাধান হাজির করেছেন, যার ফলে তা হয়েছে সর্বোচ্চ সামগ্রিক।

• উস্তাদ মেহমেদ গরমেজ তাঁর আলোচনার শুরুতেই মুসলিম উম্মাহর বিশ্বজনীনতাকে তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে ‘মুসলিম বিশ্ব’, ‘মুসলিম দুনিয়া’, ‘ইসলামী বিশ্ব’, ‘ইসলামী দুনিয়া’ এ ধরণের পরিভাষাগুলি আমাদের সভ্যতার কোন পরিভাষা নয়। বরং আমাদের সভ্যতার পরিভাষা হলো মুসলিম উম্মাহ যা কিনা গোটা মানবতার কেন্দ্র হিসেবে নির্দেশিত। একইসাথে তিনি মুসলিম উম্মাহকে অভিহিত করেছেন “উম্মাতান ওয়াসাত” হিসেবে যার অর্থ হলো কেন্দ্রীয় উম্মাহ। উস্তাদ লিখেন-

“কেন্দ্রীয় উম্মাহ’ হওয়ার অর্থ হল দুনিয়ার গতিপথকে নিয়ন্ত্রণকারী উম্মাহ হওয়া। একপাশে ও কেনারায় দাঁড়িয়ে দুনিয়ার ঘটনা-প্রবাহ সমূহের দিকে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকার নাম কেন্দ্রীয় উম্মাহ নয়। ওয়াসাত হল জগতের অক্ষ, বিশ্ব জাহানের কেন্দ্র, এমন একটি উম্মাহ যাদের চতুর্দিকে বিশ্বমানবতা ঘূর্ণায়মান হবে, অর্থাৎ আদিল (ন্যায়পরায়ণ একটি উম্মাহ)। মুসলিম উম্মাহ এমন উম্মাহ, যে উম্মাহ আদালতকে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত করে রাখবে।”

বিশ্বায়নের প্রবক্তাদের মতে, জাতিরাষ্ট্রের যুগে বৈশ্বিক চেতনার উন্মেষ ঘটাতে হলে বিশ্বায়ন একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া। কিন্তু প্রফেসর ডঃ গরমেজ বলেন- মুসলিম উম্মাহ প্রকৃতিগতভাবেই বিশ্বজনীন ও মানবতার জন্য কল্যাণকর। তাকে বৈশ্বিক হতে হলে পাশ্চাত্যের ন্যায় বিশ্বায়নের মতো সাম্রাজ্যবাদী প্রক্রিয়া অনুসরণের কোন প্রয়োজন নেই। এর পরে নয়টি অঞ্চলে মুসলিম উম্মাহকে ভাগ করে বিশ্লেষণ করেছেন মুসলিম উম্মাহর মৌলিক সমস্যাগুলো। এবং সমাধান হাজির করেছেন সর্বোচ্চ আত্মবিশ্বাসের সহিত।

• এরপরে উস্তাদ আলোচনা করেছেন ইসলামী সভ্যতার ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইসলামী সভ্যতার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে তাফাক্কুর, তাদাব্বুর ও তাযাক্কুর করতে হবে। তিনি এখানে ইসলামী সভ্যতার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার ক্ষেত্রে যে সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। উস্তাদ বলেন-

১. আখেরী যামান শব্দটিকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা
২. আমাদেরকে অন্ধকারের দিকে ধাবিতকারী ফিতনা ফাসাদ
৩. একদল মহান মানুষ আসবেন যারা আমাদের রক্ষা করবেন

এ তিনটি সমস্যা বিদ্যমান থাকলে আমরা ইসলামী সভ্যতার ভবিষ্যতকে বিনির্মাণ করতে সক্ষম হবোনা। উস্তাদ এখানে এ বিষয়টি তুলে ধরেন, ইসলাম প্রকৃতিগতভাবেই বিশ্বজনীন। সুতরাং ইসলামের ক্ষেত্রে বিশ্বায়নের মতো প্রক্রিয়া অপ্রাসঙ্গিক।
বর্তমান প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন একইসাথে সাংস্কৃতিক, আদর্শিক, ও চিন্তাগত বিশ্বায়নকে বয়ে নিয়ে এসেছে। বিশ্বায়ন বিস্তৃত হচ্ছে তথ্য ও পণ্যের সাহায্যে।

এর থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের পণ্যের সাথে হালালের, তথ্যের সাথে হাকীকতের প্রবাহ ঘটাতে হবে।

• উস্তাদ এরপর ‘নতুন দুনিয়ার জন্য শান্তি, রহমত ও আদালত’ নিয়ে আলোচনা উপস্থাপন করেন। এ অধ্যায়ে উস্তাদ ঈমানের সাথে আমান, তাওহীদের সাথে ওয়াহদাত, ইসলামের সাথে সালাম, আদালতের সাথে মারহামাতের সম্পর্ককে তুলে ধরেন। উস্তাদ একইসাথে আমাদের উপর অর্পিত আমানত, যা কিনা পাহাড়ও বহন করতে অস্বীকার করেছিলো, তা তুলে ধরেন। একইসাথে মানবমুক্তির একমাত্র সমাধান হিসেবে ইসলামকে তুলে ধরে আল্লাহর খলিফা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যকে অত্যন্ত সুচারুরূপে উপস্থাপন করেন।

• এরপর প্রফেসর গরমেজ যুবকদের দুনিয়া ও ইসলামের সম্পর্ককে তুলে ধরেন। প্রথগতভাবে কেবল যুবসমাজের উপর দোষারোপ করে নয়, বরং যুবকদেরকে নতুনভাবে উজ্জীবিত করেন। নবী, সাহাবা এবং ইসলামী সভ্যতার হাকীকত অন্বেষী আলেমগণের উদাহরণ তুলে ধরে যুবকদেরকে পুনরায় নতুন দুনিয়া বিনির্মাণের জন্য জাগ্রতকরে তুলেন। একইসাথে জ্ঞানার্জনের গতিপথ, জ্ঞানের মেথডোলজি নির্দেশ করেন। এছাড়া দ্বীন ও দুনিয়ার সম্পর্ক, দ্বীন ও আকলের সম্পর্ক, দ্বীন ও সংস্কৃতির সম্পর্ক, দ্বীন ও ইলমের মধ্যকার সম্পর্ক, দ্বীন ও মানুষের সম্পর্ক খুব ভালোভাবে তুলে ধরেন।

• উস্তাদ এরপর উপস্থাপন করেন দাওয়াতের ভাষা ও পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা। ইসলামের চিরন্তন দাওয়াত ও দাওয়াতের মূলনীতিসমূহকে ভালোভাবে বুঝে দাওয়াতের ভাষা কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে অসাধারণভাবে আলোকপাত করেন। ইন্টারনেটের যুগে কিভাবে জ্ঞানের বিশৃঙ্খলা, উসূল ও মেথডোলজি বিহীন জ্ঞান কিভাবে আরো বেশি বিশৃঙ্খলা তৈরী করেছে এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় নির্দেশ করেন। একইসাথে কথার আখলাককে উপস্থাপন করেন।

• এরপর ডঃ গরমেজ আলোচনা করেন ইসলামী সভ্যতার পুনর্জাগরণে আমাদের করণীয় নিয়ে। এ অধ্যায়ে উস্তাদ সর্বোচ্চ আত্মবিশ্বাসের সাথে উপস্থাপন করেন ইসলামের ভবিষ্যত সম্ভাবনা হচ্ছে অবশ্যসম্ভাবী ও অনিবার্য। একইসাথে তিনি উপস্থাপন করেন আমাদের অতীত সমস্যার ক্রিটিকাল আলোচনা করে ভবিষ্যতের পথ নির্মাণের রূপরেখা। উস্তাদ এখানে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক আন্দোলনসমূহের ক্ষেত্রে আদালত ও আখলাকের প্রাসঙ্গিকতাকে তুলে ধরেন। একইসাথে উস্তাদ বলেন ইসলামী ইহইয়া আন্দোলনসমূহকে চারটি পরিভাষা পুনর্বিন্যাস করে সামনে অগ্রসর হওয়ার পথ রচনা করতে হবে।

১. চিন্তার ক্ষেত্রে তাজদীদ
২. জ্ঞানের ক্ষেত্রে ইহইয়া
৩. মেথডের ক্ষেত্রে ইসলাহ
৪. আখলাকের ক্ষেত্রে ইনশা

বইটির প্রত্যেক পরতে পরতে সত্যিকারভাবে যুবসমাজকে উজ্জীবিত করেছে উস্তাদের লেখনী।
উস্তাদের কথা দিয়েই সমাপ্তি টানছি-

“কোন মুসলমানেরই হতাশ হওয়ার কোন অধিকার নেই। আমরা এমন একটি দ্বীনের অনুসারী যে দ্বীনে হতাশ হওয়াকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। আপনারা পবিত্র কোরআনকে যখনই ভালো করে পড়বেন, তখনই আপনাদের আশা বৃদ্ধি পাবে। কোরআন একই সাথে একটি আশার উৎস। আমরা যদি ইসলামী মূল্যবোধ সমূহ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি তাহলে দেখতে পাই যে, আগামী দিনে বিশ্বমানবতার মুক্তি কেবলমাত্র ইসলামের মাধ্যমেই সম্ভব।”

[উস্তাদ প্রফেসর ডঃ মেহমেদ গরমেজ এর কথাসমূহকে বাংলা ভাষায় আমাদের নিকট তুলে ধরার জন্য অনুবাদক শ্রদ্ধেয় বুরহান উদ্দিন  ভাইয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা। এবং মক্তব প্রকাশনকেও ধন্যবাদ জানাই প্রকাশ করার জন্য।]

১৩২৭ বার পঠিত

শেয়ার করুন

Picture of হাসান আল ফিরদাউস

হাসান আল ফিরদাউস

সংগঠক এবং সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষক হাসান আল ফিরদাউস-এর জন্ম টাংগাইল জেলায়। পড়াশুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও ইসলামী সভ্যতা নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি উসূল, ফিকহ এবং রাজনৈতিক দর্শনের উপর বড় শিক্ষকদের সাহচর্যে গবেষণা করে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক স্কলার ও চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে নানাবিধ গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখি করছেন। বর্তমানে তিনি ‘ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। একইসাথে জ্ঞানের পুনর্জাগরণ ও নবধারার কাগজ ত্রৈমাসিক মিহওয়ার-এর সম্পাদকও।
Picture of হাসান আল ফিরদাউস

হাসান আল ফিরদাউস

সংগঠক এবং সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষক হাসান আল ফিরদাউস-এর জন্ম টাংগাইল জেলায়। পড়াশুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও ইসলামী সভ্যতা নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি উসূল, ফিকহ এবং রাজনৈতিক দর্শনের উপর বড় শিক্ষকদের সাহচর্যে গবেষণা করে যাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক স্কলার ও চিন্তাবিদদের সমন্বয়ে নানাবিধ গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখি করছেন। বর্তমানে তিনি ‘ইসলামী চিন্তা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। একইসাথে জ্ঞানের পুনর্জাগরণ ও নবধারার কাগজ ত্রৈমাসিক মিহওয়ার-এর সম্পাদকও।

মতামত প্রকাশ করুন

Scroll to Top