বাংলা অঞ্চলের ইতিহাসের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে দেখি, রাসূল (সা) এর জীবদ্দশাতেই ইসলামের বিশ্বজনীন দাওয়াত পৌছে যায়। সাহাবী হযরত আবূ ওয়াক্কাস (রা) দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চল (বাংলা সহ) ইসলামের দাওয়াত নিয়ে আসেন। [১]
এরপর আরব ব্যবসায়ী এবং সুফীদের মাধ্যমে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি মুহম্মদ বিন কাসিমের অভিযান, সুলতান মাহমুদ গজনবির অভিযানও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে উপমহাদেশের পাশাপাশি বাংলার মানুষজনও ইসলামের সুমহান বার্তার সাথে পরিচিত হয়।
বাবা আদম শহীদ, জালালুদ্দীন তাবরিজী, শাহ নিয়ামতুল্লাহ, বায়েজিদ বোস্তামী, শাহ মাখদুম রা বখতিয়ার খিলজির বহু আগেই বাংলা অঞ্চলে এসে ইসলাম প্রচার করতে থাকেন। সুতরাং বখতিয়ার খিলজির আগমনের প্রাক্কালে বাংলা অঞ্চলে ইসলাম যে অপরিচিত ছিলোনা তা বলাই বাহুল্য।
তৎকালীন বাংলা অঞ্চল:
এগারো শতাব্দীর শুরুর দিকেও নামে মাত্র পাল শাসন অব্যাহত ছিলো। পরবর্তীতে রাজা বিজয় সেনের হাতে পরাজয় বরণ করে পাল বংশের শাসন বিলুপ্ত হয়। সেন বংশের শাসন শুরু হয়।
পালরা ছিলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তাই আর্য জাতিভূক্ত সেনরা তাদের উপর প্রচন্ড অত্যাচার চালায়। আর ব্রাহ্মণ্যবাদ মূলত তখনই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরী করে। এরপর শুরু হয় বর্ণাশ্রম প্রথা। হিন্দুদের মধ্যেও ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র ইত্যাদি ভাগে ভাগ করে ফেলা হয়। প্রচন্ড জুলুমে অস্থির হয়ে ওঠে তৎকালীন পরিবেশ। অনাহারী, অত্যাচারী মানুষদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ। বিশেষত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উপর সেনরা অমানবিক অত্যাচার চালায়।
অধ্যাপক দেবেন্দ্র কুমার ঘোষ লিখেছেন-
“পাল বংশের পর এতদ্দেশে সেন বংশের রাজত্বকালে ব্রাহ্মণ্য ধর্মের চিন্তা অতিশয় ব্যাপক হইয়া ওঠে এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রবাহ বিশুষ্ক হইয়া পড়ে। এবং তাহাদের কারণে বৌদ্ধরা এসকল অঞ্চল থেকে পালাইতে থাকে। তাহাদের অনেকেই স্বদেশ ছাড়িয়া নেপাক, তিব্বত, অন্যান্য অঞ্চলে আশ্রয় গ্রহণ করিতে বাধ্য হয়।”
ত্রয়োদশ শতকের বৌদ্ধ কবি রামাই পণ্ডিত এর ‘নিরঞ্জনের উষ্মা’ কবিতায় সেখানকার চিত্র সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়।
কবিতার ভাবার্থ-
” ব্রাহ্মণেরা পৈতা তুলে দক্ষিণা চাইতে আসে। যার ঘরে দক্ষিণা পায়না তার সংসার অভিশাপ দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তারা বড় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, দল বেধে সদ্ধর্মীকে (বৌদ্ধ) বিনাশ করছে। তারা বেদমন্ত্র উচ্চারণ করে, তাদের দেখে সবাই কম্পমান। ব্রাহ্মণেরা এভাবে সৃষ্টি বিনাশ করলে তা তো অনেক বড় অত্যাচার”।
এভাবে জুলুম চলিতে থাকে সর্বত্র। একদিকে ব্রাহ্মণদের বল্গাহীন ভোগবিলাস, অপরদিকে ভিক্ষু, নিম্নবর্ণের হিন্দুদের তীব্র অভাব।
চর্যাপদের কবি ঢেণ্ডনপাদ ৩৩ নং চর্যায় দারিদ্র্য ও অভাবের বর্ণনা দেন-
“টিলার উপর আমার ঘর, কোন প্রতিবেশী নেই। হাড়িতে ভাত নেই, অথচ ক্ষুধার্তরা এসে বাসায় ভিড় করে”।
এরকম জুলুম চলতে থাকে সর্বত্র। সেন রাজারা মাতৃভাষা চর্চার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ পড়াকেও নিষিদ্ধ করে৷
তিব্বতীয় বৌদ্ধ লামা তারানাথ এ সম্পর্কে লিখেছেন-
“……… জনগণের দুঃখ দুর্দশার সীমা ছিলোনা। প্রবলেরা অবাধে দুর্বলদের উপর অত্যাচার চালাতো”। [২]
এভাবে নানাবিধ অত্যাচার চলতে থাকে।
ঐতিহাসিক বঙ্গবিজয়ঃ
মধ্য এশিয়ায় যখন মুসলিমরা বিজয় লাভ করে, তখন সেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের শাসন চলছিলো। মুসলিমদের বিজয়ের পর তাদের উচ্চ আখলাক, এবং জুলুমহীন, ন্যায়ভিত্তিক শাসনব্যবস্থায় ভিক্ষুরা অবাক হয়ে,যায়। তখন-ই বঙ্গের ভিক্ষুদের উপর চলছিলো নির্মম অত্যাচার। তুখারিস্থানের ভিক্ষুদের অনেকেই তখন বাংলা অঞ্চলে মুসলমানদের অসাধারণ শাসনব্যবস্থার সংবাদ নিয়ে আসে। এ কথা শুনে বঙ্গবাসী ভিক্ষুরা এক মহান মুজাহিদের কাছে গিয়ে সাহায্যের আবেদন জানান।
তখন তিনি সম্মতি জ্ঞাপন করেন। ১২০৪/৫ সালের ১৯ রমজান [৩] তিনি বঙ্গ অঞ্চলে আগমন করেন, মজলুম মানুষকে মুক্তি দেন জুলুম থেকে, নিয়ে আসেন মানবতার মুক্তির পয়গাম। এ অঞ্চলের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাকে সাদরে স্বাগত জানায়। ইতিহাসবিদগণ মূল্যায়ন করেছেন, এ অঞ্চলের বিজয়ে বখতিয়ার খলজিকে বৌদ্ধরা সক্রিয় সহযোগিতা করে। [৪]
মহান মুজাহিদ ছিলেন ইখতিয়ারউদ্দীন মুহাম্মাদ বখতিয়ার খলজির হাত ধরে এ অঞ্চলে উদিত হয় আদালতে সূর্য। সে দিনটি বাস্তবিকভাবেই ছিলো মানবতার মুক্তির দিন, মানবতার বিজয়ের দিন, ইনসাফের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দিন, যার ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের মানুষেরা প্রায় সাড়ে ছয়শো বছরের নজীরবিহীন, তুলনাহীন অসাধারণ শাসনে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছিলো। যার ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক মুক্তি, সাংস্কৃতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা, ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা, পক্ষপাতহীন বিচারব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় বাজেটে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে পুনর্জীবিতকরণ সহ অসাধারণ ব্যবস্থাপনা নসিব হয়েছিলো এ অঞ্চলের মজলুম মানুষের ভাগ্যলিপিতে। সুফী মুজাহিদগণের রোপিত বীজে পানিসিঞ্চন করে বখতিয়ার খলজি উষর এ অঞ্চলে ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলা অঞ্চল যে স্বর্ণশিখরে পৌছে যায় তা সে সময়কার ইতিহাস পর্যালোচনা করলেই স্পষ্ট বুঝা যায়।
অর্থনীতি
বখতিয়ার খলজির হাত ধরেই এ অঞ্চলের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির গোড়াপত্তন হয়। তিনি সর্বপ্রথম এ অঞ্চলে মুদ্রা চালু করেন। এর আগে এ অঞ্চলে লেনদেন হতো কড়ির মাধ্যমে। বখতিয়ার খলজির হাত ধরেই সুগঠিতভাবে মুদ্রাব্যবস্থা ও কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় লেনদেনের পদ্ধতি চালু হয়। সুদভিত্তিক জুলুমপূর্ণ অর্থনীতির পরিবর্তে ইনসাফপূর্ণ অর্থনীতি ব্যবস্থার নতুন ধারা তৈরী করেন এ মহান মুজাহিদ।
কৃষি
বখতিয়ার খলজির সূচনা থেকে পরবর্তী সময়ে বাংলা অঞ্চল পৃথিবীশ্রেষ্ঠ কৃষি অঞ্চলে পরিণত হয়। বার্ষিক উৎপাদন, বহিরাঞ্চলে রপ্তানি, বিভিন্ন রকম বীজ, শস্যের বৈচিত্র্য, অঞ্চলোপযোগী খাদ্যনীতি, সামগ্রিক ভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ অবস্থানে থাকা বাংলা অঞ্চলের সমৃদ্ধির সূচনা হয় বখতিয়ার খলজির বিজয়ের মাধ্যমেই। [৫]
সংস্কৃতি
এ অঞ্চলের মানুষ মানবিক সংস্কৃতি, পরিশুদ্ধ ও মানুষের প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যশীল জীবনধারার বিকাশ ঘটে মুসলিম বিজয়ের পর থেকেই। [৬]
শিক্ষাব্যবস্থা
শুধুমাত্র একটি উক্তি দেয়াই এখানে যথেষ্ট। শিক্ষার উচ্চমানের প্রশংসা করে ইংরেজ পন্ডিত জেনারেল স্লিম্যান মন্তব্য করেন-
“ভারতীয় মুসলিমদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যেমন অগ্রগতি হয়েছে, পৃথিবীর খুব সম্প্রদায়ের মধ্যেই সে রকম প্রসার হয়েছে। যে ব্যক্তি মাসে বিশ টাকা বেতনের চাকুরি করেন, তিনিও তার সন্তানকে প্রধাণমন্ত্রীর সন্তানের সমতুল্য শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। তারা আরবি ও ফারসি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভ করেন। সাত বছরকাল অধ্যয়নের পর একজন মুসলমান যুবক পাগড়ি পরিধান করে এবং অক্সফোর্ড থেকে পাশ করা নব্য যুবকের মতোই জ্ঞানের সে সংশ্লিষ্ট সকল শাখায় পূর্ণতা লাভ করে। সে সক্রেটিস, এরিস্টটল, প্লেটো, হিপোক্রেটাস, গ্যালেন ও ইবনে সিনা সম্বন্ধে অনর্গল কথা বলতে পারে”।
এছাড়া বহু মাদ্রাসা, খানকাহ, দরগাওগুলো শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমাদের দারসবাড়িগুলোর ভগ্নাবশেষ সে সাক্ষ্যই দেয়। জার্মান পণ্ডিত ম্যাক্সমুলারের হিসাবানুযায়ী ব্রিটিশ শাসনামলের ত্রিশ বছর পূর্বেও এ অঞ্চলে ৮০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিদ্যমান ছিলো!! [৭]
ভাষা ও সাহিত্য – মুসলিমগণই বাংলা ভাষাকে ম্লেচ্ছ কিংবা ব্রাত্য অবস্থান থেকে তুলে আনেন। বাংলা ভাষাকে সত্যিকারার্থে জীবন দান করেন মুসলিমরাই। এ এক ঐতিহাসিক সত্য যে মুসলিম সালতানাতের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে বাংলা ভাষা কালের গর্ভে বিলুপ্ত হয়ে যেত। ব্রাক্ষ্মণ্যবাদীদের ভয়াবহ জুলুমে অতিষ্ঠ হয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষু, দ্রাবিড়গণ তিব্বৎ, নেপাল ইত্যাদি অঞ্চলে পালিয়ে যান। যার ফলে তৎকালীন সময়কার বাংলা কোন গ্রন্থ আমাদের কাছে মওজুদ নেই।
মুসলিম শাসনের ফলে এ জুলুমপূর্ণ শাসনের অবসান হয়। এ সময় শিক্ষাদীক্ষা সমাজের নিম্নস্তর পর্যন্ত পৌছায়, এমনকি নাপিত ও অন্যান্য শ্রেনীর লোকেরাও সাহিত্যিচর্চার ফলে খ্যাতিমান হয়। অন্ত্যজ শ্রেণীর হিন্দুরা সর্বপ্রথম মুসলমানদের সময়ে নিজেদের ধর্মগ্রন্থ দেখা ও পাঠ করার সৌভাগ্য অর্জন করে।
এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই জুলুম, নিকৃষ্ট জাতপ্রথা, কৌলিন্যবাদ, অর্থনৈতিক শোষণ, হত্যা, নির্যাতনের বিপরীতে ন্যায়ভিত্তিক শাসন, আদালত, ইহসান ও মারহামাতপূর্ণ পরিবেশের আবহ ছড়িয়ে পরে সবজায়গায়। [৮]
সুদীর্ঘ ৬ শতাব্দীর সালতানাতের পতন, মানবতার ইতিহাসে সর্বনিকৃষ্ট শোষণের পর আজকের ইতিহাসের সাথে আমরা যখন নিজেদের অস্তিত্বকে আবিষ্কার করতে চাই, তখন আমরা এ জুলুমপূর্ণ ভূখণ্ডে নিজেদের সে স্বর্ণালী ইতিহাসের উত্তরাধিকার খুঁজে পাইনা…
অথচ আমাদের সে সালতানাত, আমাদের দরগাহ, দারসবাড়ি, মক্তব, শায়খ শরফুদ্দীন আবুত তাওয়ামাহর হাদীসের দারস, আমীর খসরুর গজল, আলাওলের পাণ্ডিত্যপূর্ণ সাহিত্য আলাপকেন্দ্রগুলো আজ নিষ্প্রভ, নির্জীব, নীরব।
আজ বঙ্গবিজয় দিবসের প্রায় হাজার বছর পূর্বে বখতিয়ারী প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে দৃঢ়কন্ঠে বলতে চাই, আমরা শোষিত হয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি, কিন্তু আমরা আমাদের প্রাণসত্তা, আমাদের রূহকে হারাইনি।
আমরা আজকের দরিদ্র, ভঙ্গুর বাংলার সন্তান নই, আমরা সুদীর্ঘ ৭ শতাব্দীর স্বর্ণালী সালতানাতের সন্তান। জুলুমের ভয়াবহতা আমাদের অন্তরকে হত্যা করতে পারেনি। আমাদের হৃদয়ের অব্যক্ত প্রেরণাকে ভাষায় প্রকাশ করেছেন বিশ্বাসের কবি মল্লিক-
‘সতের সওয়ার ঘনকালো দেশে অশেষ আধার
আলো-ঝলো-মলো সতের সূর্য সম্ভাবনার;
প্রতি দুর্যোগে বখতিয়ারের জ্বলে ওঠে বিদ্যুৎ
মজলুমানেরা পায় সম্মুখে
দীপ্ত-দীপ্র মুক্তি-দ্যোতনা দূত
যখন কোথাও অস্তিত্বের বুকে বসে সংহার,
যখনি কোথাও বিধ্বংসের খেলা চলে গংগার,
যখনি কোথাও বিষাক্ত নীল ফণা তোলে মুশরেক
নির্যাতিতের কন্ঠে তখনই
ইখতিয়ারের পুনো-পুনো উল্লেখ”। [৯]
মুক্তির সূর্যোদয়ের নতুন বখতিয়ার খলজীর অপেক্ষায়………
তথ্যসূত্রঃ
১. ইসলামী বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, খন্ড-২৬, পৃ-৫৪২
২. বাংলাদেশে ইসলাম, আব্দুল মান্নান তালিব
৩. তাবাকাতে নাসেরী, কাজী মিনহাজ ই সিরাজ, অনুবাদঃ আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া, ভূমিকা, পৃ-৪৪, খন্দকার মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশের পুরাকীর্তি কোষ, পৃঃ ৭২-৭৩
৪. ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজী, সরদার আব্দুর রহমান, দিব্যপ্রকাশ, পৃঃ ১১০-১১৭, দ্র- ইসলামী বিশ্বকোষ, ২৬ খণ্ড, পৃ-৫৪২
৫. ত্রৈমাসিক মিহওয়ার, তৃতীয় সংখ্যায় (এপ্রিল-জুন’২১) এ বিষয়ে “বাংলা অঞ্চলে কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থাঃ প্রেক্ষিতে ইসলামী সভ্যতা” শীর্ষক অত্যুৎকৃষ্ট একটি প্রবন্ধ এসেছে। অসাধারণ উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলা অঞ্চলের কৃষি ও খাদ্যনীতি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করা হয়েছে এখানে।
৬. বিস্তারিত আলোচনার জন্য দ্রষ্টব্য “মুসলিম সংস্কৃতি ও বাঙালী মুসলমান”, প্রচ্ছদ প্রকাশন, ফাহমিদ উর রহমান,।
৭. অন্য আলোয় দেখা, ফাহমিদ উর রহমান, পৃ-৭২
৮. ত্রৈমাসিক মিহওয়ার, তৃতীয় সংখ্যায় (এপ্রিল-জুন’২১) সংখ্যায় এ বিষয়ে নাতিদীর্ঘ একটি প্রবন্ধে অসাধারণ আলোচনা করেছেন ফাহমিদ উর রহমান। তাঁর “বখতিয়ার খিলজী যদি না আসতেন” শীর্ষক প্রবন্ধে খাদ্য, স্থাপত্য, সংস্কৃতি, পোশাক সহ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ অঞ্চলে মুসলিম উত্তরাধিকার নিয়ে চমৎকার আলোচনা উপস্থাপিত হয়েছে।
৯.ইখতিয়ার উদ্দীন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজী, সরদার আব্দুর রহমান, দিব্যপ্রকাশ, পৃঃ ২১৫